Thank you for trying Sticky AMP!!

ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ২০ টাকা করার দাবি শ্রমিকপক্ষের

ফাইল ছবি

তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য ১২ হাজার ২০ টাকা নিম্নতম মজুরি প্রস্তাব করেছেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি। অন্যদিকে মালিকপক্ষ প্রস্তাব করেছেন মাত্র ৬ হাজার ৩৬০ টাকা। বর্তমানে পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা।

তৈরি পোশাকশ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের তৃতীয় সভায় আজ সোমবার মজুরি প্রস্তাব করেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি বেগম শামছুন্নাহার ভূঁইয়া এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমান। রাজধানীর তোপখানা রোডে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

শ্রমিকপক্ষের প্রস্তাবিত ১২ হাজার ২০ টাকা মোট মজুরির মধ্যে মূল মজুরি ৭ হাজার ৫০ টাকা, মূল মজুরির ৪০ শতাংশ হিসেবে বাড়ি ভাড়া ২ হাজার ৮২০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার টাকা, যাতায়াত ভাতা ৫০০ টাকা এবং টিফিন ভাতা ৬৫০ টাকা আছে। এ ছাড়া ৬ নম্বর গ্রেডে ১২ হাজার ৯৩০ টাকা, ৫ নম্বর গ্রেডে ১৩ হাজার ৯১০ টাকা, ৪ নম্বর গ্রেডে ১৪ হাজার ৯১০ টাকা, ৩ নম্বর গ্রেডে ১৬ হাজার ১৫০ টাকা, ২ নম্বর গ্রেডে ১৭ হাজার ৫৫০ টাকা এবং ১ নম্বর গ্রেডে ২১ হাজার ৫০ টাকা প্রস্তাব করেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি।

এ ছাড়া পোশাক কারখানায় কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন ১১ হাজার ৯৫০ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি বেগম শামছুন্নাহার ভূঁইয়া। একই সঙ্গে মূল মজুরির ওপর প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্টের প্রস্তাব করেন তিনি। এ ছাড়া শ্রমিক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য ২টি উৎসব ভাতা এবং মূল মজুরি ২০ শতাংশ হিসেবে বৈশাখী ভাতার প্রস্তাব করেন শ্রমিক প্রতিনিধি।

অন্যদিকে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি পোশাক শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকা প্রস্তাব করেন। এর মধ্যে মূল মজুরি ৩ হাজার ৬০০ টাকা, মূল মজুরির ৪০ শতাংশ হারে বাসা ভাড়া ১ হাজার ৪৪০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৩০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ২৪০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ৭৮০ টাকা। সব মিলিয়ে বর্তমানের চেয়ে ২০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে মালিকপক্ষ। তারা ৬ নম্বর গ্রেডের জন্য ৬ হাজার ৭৫২ টাকা ৫ নম্বর গ্রেডের জন্য ৭ হাজার ১৭৬ টাকা, ৪ নম্বর গ্রেডের জন্য ৭ হাজার ৬০৪ টাকা, ৩ নম্বর গ্রেডের জন্য ৭ হাজার ৯৮৩ টাকা প্রস্তাব করেছে। তবে ১ এবং ২ নম্বর গ্রেডের জন্য কোনো মজুরি প্রস্তাব করেনি মালিকপক্ষ।

মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের প্রস্তাব নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে খুব শিগগিরই আমরা মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম শেষ করব। তবে গতকাল রোববার মজুরি বোর্ডের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।