Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গে আজ থেকে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরা শুরু

ভারতে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরার ওপর আরোপিত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বৃহস্পতিবার উঠে গেছে। ফলে আজ শুক্রবার থেকে বঙ্গোপসাগরের গভীরে এই মৌসুমের ইলিশ ধরা শুরু হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত গভীর রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, রায়দীঘি, পাথর প্রতিমা ও সাগরদ্বীপ এবং দীঘাসহ সমুদ্র উপকূলবর্তী অন্যান্য এলাকার কয়েক হাজার মৎস্যজীবী মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রের দিকে যেতে শুরু করেন। এর আগে তাঁরা ট্রলারগুলোতে নতুন রং করে, ফুলের মালায় সাজিয়ে এবং গঙ্গাপূজা দিয়ে নেন। তাঁরা সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ফিরে আসবেন এবং তখন বাজারে এই মৌসুমের ইলিশ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অভিজ্ঞতার আলোকে মৎস্যজীবীরা আশা করছেন, এবার তাঁদের জালে বেশি এবং আকারে বড় ইলিশ ধরা পড়বে। কারণ এ বছর সাগরে আবহাওয়া ভালো রয়েছে। কয়েক দিন ধরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ায় এবং তাপমাত্রাও ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে থাকাই জালে ইলিশ ধরা পড়ার জন্য আদর্শ আবহাওয়া। গত তিন বছরে আবহাওয়া এ রকম অনুকূল ছিল না। আট মাস ধরে চলবে ইলিশ ধরার এই অভিযান।

সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র সাংবাদিকদের বলেন, এখন নিম্নচাপের কোনো সতর্কবার্তা নেই। সে জন্য মৎস্যজীবীরা বুধবার গভীর রাত থেকেই সমুদ্রের দিকে যেতে শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বঙ্গোপসাগরের রুপালি ইলিশ।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাক বা না থাক মৎস্যজীবীরা মনে করেন, যদি সমুদ্রের মোহনায় পানি কালচে দেখায়, তাহলে তাঁরা বোঝেন ভালো মাছ আছে। এবার তাঁরা মোহনার পানির রং কালচে দেখেছেন। তাতে বেশি ইলিশ ধরা পড়ার আশা করছেন।

এদিকে জানতে চাইলে হিলসা ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তো আশাবাদী, মৎস্যজীবীরা সমুদ্রের তীর থেকে ৫০-১০০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে বড় সাইজের ও প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরে নিয়ে আসবেন।’