Thank you for trying Sticky AMP!!

পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হালে জাপান

গত পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থনীতির এমন হাল আর দেখেনি জাপান। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে আশঙ্কার চেয়েও বেশি, অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। মূলত ঘূর্ণিঝড়, বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ। তবে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ বছরও অর্থনীতির গতি ফেরার সম্ভাবনা কম। খবর বিবিসি অনলাইনের।

জাপানের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। পাঁচ বছরের যা সবচেয়ে বেশি ত্রৈমাসিক জিডিপি সংকোচন। এ সময়ে ভোক্তা ব্যয় কমেছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য ভোক্তা ব্যয় কমার অন্যতম কারণ গত অক্টোবরে বিক্রয় করের হার ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করে জাপান। এর মধ্যে অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস জাপানের একটি বড় অংশে আঘাত হাতে। এতে প্রাণহানিসহ বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। শেষ প্রান্তিকে মূলধন ব্যয় কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের ডামাডোলে রপ্তানি কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির বিনিয়োগকারীরা এখন চিন্তিত করোনাভাইরাস নিয়ে। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে জাপানে চীনের বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। সেই সঙ্গে চীন থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও কমেছে ব্যাপক পরিমাণে।

জাপানের অর্থমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বলেন, সরকার অর্থনীতি ও পর্যটনের ওপর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

চার প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাপান। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে ২০১৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর সবচেয়ে বড় সংকোচন দেখা গেছে। সে সময় জাপানের অর্থনীতি ১ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়। সে সময়ও বিক্রয় কর বাড়ায় সরকার।