Thank you for trying Sticky AMP!!

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ভারত

ফাইল ছবি

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। বাম্পার ফলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির খাদ্য ও ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রী গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে জানান, গত বছরের তুলনায় মার্চে ৪০ লাখ টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হলে কৃষকেরা ভালো দাম পাবেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, দাম এখন স্থিতিশীল হয়েছে। ফসলের পরিমাণও প্রচুর। এখন পেঁয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা দামকে চাপে ফেলবে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বেশির ভাগ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ রুপিতে নেমে এসেছে। বাম্পার ফলনের কারণে দাম আরও কমতে পারে। এ সময় রপ্তানি করলে কৃষকেরা ভালো দাম পাবেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। ভারতের বাজারেই সে সময় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ রুপি। ভারত সরকার মজুতের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। দাম নিয়ন্ত্রণে মিসর, আফগানিস্তান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল।

বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে, দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। তখন দুই দিনের মধ্যে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকার কাছাকাছি দরে। অবশ্য বাজার তদারকি ও হুজুগ শেষের পর দাম আবার কিছুটা কমে। তবে আবার লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম। একপর্যায়ে এক কেজি পেঁয়াজ ২৫০ টাকাতেও কেনেন গ্রাহকেরা। পরে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কিছুটা কমে আসে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা।