Thank you for trying Sticky AMP!!

পোশাকশ্রমিকদের আজও বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

পোশাকশ্রমিকেরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছেন। ফাইল ছবি

ন্যূনতম মজুরির দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা আজ বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া, কুটুরিয়া, জামগড়াসহ কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় নামেন পোশাকশ্রমিকেরা। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে আশুলিয়া এলাকায় অর্ধশত কারখানা বন্ধ। 

গতকাল বুধবার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সাভার। ওই এলাকা আজ শান্ত। গত তিন দিনের মতো আজ অবশ্য রাজধানীর কালশী রোডে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। দুপুর ১২টার দিকে মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর চলে যান শ্রমিকেরা।
সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়ায় রাস্তায় নেমে আসেন শ্রমিকেরা। এসব শ্রমিককে সরে যেতে বলে পুলিশ। তাঁরা না সরলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। টায়ার ও কাঠে আগুন জ্বেলে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন। কাঠগড়ার পাশাপাশি শ্রমিকেরা জামগড়া ও কুটুরিয়াতেও রাস্তায় নামেন। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য আহত হন।
সাভারে আজ পরিস্থিতি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত। কাল বন্ধ থাকা স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপে আজ কাজ হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরের কালশীর পোশাকশ্রমিকেরাও আজ রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তাঁরা সড়কের ওপর বসে পড়েন। স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে কালশী রোড ও আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে যান চলাচল করতে থাকে। নিরাপত্তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ জলকামান, সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের মালিক মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঘণ্টাখানেক তাঁর সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে শ্রমিকেরা ১২ জানুয়ারি শনিবার থেকে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইমরানুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার আশ্বাসে পর শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর কালশী রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন: 
মজুরি কাঠামোতেই গলদ
শ্রমিকের উন্নয়নটা কে দেখবে?