Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিসের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় পাউন্ডের মূল্যবৃদ্ধি

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর মুদ্রাবাজারে বেড়েছে পাউন্ডের দর। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বরিস জনসনের কট্টর ব্রেক্সিট কৌশলের বিরোধিতা করে ব্রেক্সিটবিরোধী লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টিতে যোগ দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা ফিলিপ লি। মূলত, এই খবর পাউন্ডের দর উঠিয়ে দিয়েছে।

গতকাল ১ পাউন্ড ১ দশমিক ১০ ডলার থেকে ১ দশমিক ২০ ডলারে লেনদেন হয়। তার আগে মুদ্রাবাজারে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর এতটাই কমে যায় যে তা ২০১৬ সালের অক্টোবরের চেয়েও নিচে ছিল।

চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) ঠেকানোর জন্য একটি বিল পাস করতে চায় বিরোধী দলগুলো। অন্যদিকে, ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রেক্সিট কার্যকর ব্যর্থ হলে আগামী ১৪ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন ডাকা হতে পারে।

গতকাল পার্লামেন্টে বরিস জনসন বলেন, যদি বিরোধীরা কোনো চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বন্ধ করতে সমর্থ হয়, তাহলে তা নতুন কোনো চুক্তির আলোচনার সম্ভাবনা নষ্ট করে দেবে। মুদ্রা বিশ্লেষকেরা বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটে পাউন্ডের দরপতনের আশঙ্কা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা বিশ্লেষক জেন ফলি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হচ্ছে না—এমন সম্ভাবনা বাড়লে পাউন্ডের দর বাড়তে পারে। অন্যদিকে, নির্বাচনের সম্ভাবনা বাড়লে দর কমতে পারে। মুদ্রার একটা নিয়ম আছে—এটি কোনো অনিশ্চয়তা পছন্দ করে না।

জেন ফলি আরও বলেন, যদি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্যরা আগামী মাসের শেষে হতে যাওয়া চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে পারেন, তাহলে সম্ভবত স্টার্লিংকে ওঠানো যাবে। তার মানে দাঁড়ায়, রাজনৈতিক অস্থিশীলতা ও জাতীয় নির্বাচন এই মুদ্রার মান নিচে নামিয়ে দেবে।