Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশ চাইছে বিনিয়োগ, ভারত বলছে বাজার ধরো

রাজধানীতে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ভারতীয় পণ্যের মেলা উদ্বোধনকালে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন এ দেশের শিল্পমন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার তাঁদের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের এ মেলার আয়োজন করেছে। এটির উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের জন্য সরকার আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ করছে। এতে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়বে। ভারতীয় বিনিয়োগে উৎপাদিত পণ্য ভারতে পুনঃ রপ্তানির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেন, ‘আপনাদের জন্য একটি বড় বাজার (ভারত) আছে এবং সেটা পুরোপুরি উন্মুক্ত। আমি আপনাদের সেই বাজারে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়ে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব। তখন এটি আরও বেশি প্রতিযোগিতা করতে পারবে। আবার সাশ্রয়ী অর্থনীতিকে উচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার অর্থনীতিতেও পরিণত করতে হবে। এটি করতে পারলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেরই লাভ হবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো দূর করতে হবে।
ভারতীয় এই মেলার চেয়ারম্যান নয়নতারা পাল চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে, দুই দেশের মধ্যে বৈধভাবে যত বাণিজ্য হয়, তার চেয়ে আরও ৩০-৩২ শতাংশ বাণিজ্য হয় অনানুষ্ঠানিকভাবে (চোরাচালানের মাধ্যমে)। দুই দেশকেই এটি বন্ধে কাজ করতে হবে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে স্থলবন্দরের জটিল শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা, পণ্যের পরীক্ষাগারকে স্থলবন্দরের অংশে পরিণত করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সহসভাপতি শাফকাত হায়দার বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলায় ৬০টি প্রতিষ্ঠানের ৬৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। এসব স্টলে ভারতের উদ্যোক্তাদের তৈরি জ্বালানি, বৈদ্যুতিক পণ্য ও সরঞ্জাম, শিল্প যন্ত্রপাতি ইত্যাদি প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।