Thank you for trying Sticky AMP!!

বার্জারে বাংলাদেশি রং

রূপালী চৌধুরী। ছবি: খালেদ সরকার

তাঁর সময়ে, গত শতাব্দীর আশির দশকের শুরুর দিকে যখন ছাত্রীদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসনে পড়ার ঝোঁক বলতে কিছু ছিল না, সেই সময়ে রূপালী চৌধুরী ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে (ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট)। পড়াশোনা শেষ করে সবাই যখন সরকারি চাকরিতে ঢোকার চেষ্টায় রত, সেই সময়েও রূপালী চৌধুরীর যাত্রা ছিল স্রোতের বিপরীতে। যোগ দেন ‘সিবা গেইগি’ নামের এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে।

এরপর কেটেছে ৩৫ বছর। আজ রূপালী চৌধুরী একটি সুপরিচিত নাম। সাধারণ কর্মী থেকে নিজ দক্ষতায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার শীর্ষ পদে ওঠার নজির গড়েছেন। তিনি কোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত একমাত্র বাংলাদেশি নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফরেন চেম্বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করা একমাত্র নারীও তিনি। 

সব সময় শাড়ি পরেন। কপালে মাঝেমধ্যে টিপও দেখা যায়। ভাত-মাছ-ডাল বিশেষ পছন্দের খাবার। সব মিলিয়ে আবার তিনি নিরেট বাঙালি নারী।

দেশে কেন বিদেশি বিনিয়োগ তেমন একটা আসছে না, ব্যবসায় পরিবেশের সমস্যা কী কী, কীভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে—এসব নিয়ে রূপালী চৌধুরীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। এবার গিয়েছিলাম তাঁর জীবনের কথা শুনতে। তাঁর শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, পেশাজীবন, পরিবারের কথা জানতে। রূপালী চৌধুরী সবকিছুই জানালেন। কখনো স্মৃতিকাতর হয়ে, কখনো লাজুক ভঙ্গিতে, কখনো স্নেহময়ী মায়ের মতো, কখনো সিরিয়াস আলোচকের মতো। 

শুরুটা কৈশোরের গল্পে
রূপালী চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়ায়। তাঁর বাবা প্রিয় দর্শন চৌধুরী ছিলেন একজন চিকিৎসক। কলকাতায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি (বাবা) সেখানেই চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হন। কিন্তু রূপালী চৌধুরীর ঠাকুরমা (দাদি) তাঁর ছেলেকে বললেন, ‘এখানে মানুষ রোগে মারা যায়, আর তুমি বিদেশে রোগ সারাও!’

রূপালী চৌধুরীর বাবাকে ফিরে আসতেই হলো। ১৯৫৭ সালে ফিরে এসে তিনি চট্টগ্রামের পটিয়ায় চিকিৎসা পেশা শুরু করেন। মা (রূপালী চৌধুরীর ঠাকুরমা) ওই সময় ছেলের ভিজিট (সম্মানী) রোগীপ্রতি দুই টাকায় সীমিত করে দেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। 

এ গল্পটি বলার সময় রূপালী চৌধুরীকে খুব গর্বিত মনে হলো। তিনি বললেন, ‘বাবা আমার চোখে আনসাং হিরো (অবিসংবাদিত নায়ক)। ওই সময় কলকাতার পসার ছেড়ে পটিয়ায় ফেরা সহজ ছিল না।’ 

মা–বাবার পাঁচ সন্তানের মধ্যে রূপালী চৌধুরী চতুর্থ। বড় বোন শ্যামলী চৌধুরী গৃহিণী। এরপর ভাই শ্যামল বিকাশ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। মেজ বোন অঞ্জলি চৌধুরী মারা গেছেন। ছোট ভাই কমল জ্যোতি চৌধুরী ব্যবসায়ী। রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের পরিবার ছিল অসম্ভব সংস্কৃতিমনা। পটিয়ায় আমাদের শৈশব, কৈশোর খুব আনন্দে কেটেছে। সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি কখনো টের পাইনি। আমাদের প্রচুর মুসলমান ও হিন্দু বন্ধু ছিল। বিদ্যালয়ে চারটি ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্যই আলাদা আলাদা প্রার্থনা হতো। এখন তো সেটা আর হয় না।’ 

স্থানীয় বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষা শেষ করে রূপালী চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। স্নাতকোত্তর করেন আইবিএতে। পড়াশোনা শেষ করে সিবা গেইগিতে যোগ দেন ১৯৮৪ সালে। শুরুর কাজ ছিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানকে ব্যবস্থাপনা ও বিক্রয়সংক্রান্ত হিসাব দিয়ে সহায়তা করা।

সকালে গিয়ে ফেরেন সন্ধ্যায়। বার্জারের রূপালী চৌধুরীর দিন কাটে ব্যস্ততায়

’৭৭-এ কথা শুরু

রূপালী চৌধুরী ভালো গান গাইতেন। আবদুল হক (ছদ্মনাম সিদ্ধার্থ হক) কবিতা লিখতেন, গল্প লিখতেন, ভালো ছাত্র ছিলেন। দুজনের পরিবার কাছাকাছি বসবাস করে। আগে থেকে চেনাজানা হলেও কথাবার্তা বলা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। আর বিয়ে হয় ১৯৮৯ সালে, ১২ বছরের মাথায়। 

পরিবার কি মেনে নিয়েছিল? জানালেন, দুই পরিবারের মধ্যে জানাশোনা ছিল। দুই পক্ষই একে অপরকে ভালোভাবে জানত। কিন্তু বিয়েটা মানতে চাইছিল না। তাই বেশ অপেক্ষাও করতে হয়। বিয়ে যখন হয়ে গেল, তখন ধীরে ধীরে সবকিছুই স্বাভাবিক হলো। 

জানতে চাইলাম, ভাইয়ের (আবদুল হক) প্রতি আকর্ষণের মূলে কি কবিতা ছিল? রূপালী চৌধুরী হেসে বললেন, ‘এত কিছু জানতে চেয়ো না।’

আবদুল হক ও রূপালী চৌধুরীর দুই সন্তান। ছেলে রাহুল হক কানাডায় পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে এসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেছে। রূপালী চৌধুরী বলেন, ছেলেটা বিদেশে থাকতে চায় না। বাবার মতো তারও কবিতা লেখার ঝোঁক। তার প্রথম বই ইংরেজিতে প্রকাশিত ফাইন্ডিং চি (নিজেকে খোঁজো)। মেয়ে পূর্ণা হক কানাডায় পরিবেশবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ছে।

আবদুল হক সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি এন্টারপ্রাইজ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটিকে আপনারা চেনেন ওরস্যালাইনের মাধ্যমে। 

বার্জারে রঙের জীবন
বার্জারের প্রতিষ্ঠাতা জার্মানির নাগরিক লুইস বার্জার। তিনি ১৭৬০ সালে যুক্তরাজ্যে রাসায়নিক ব্যবসা শুরু করেন। বার্জার এ অঞ্চলে ব্যবসা করতে আসে ১৯৫০ সালে। বাংলাদেশে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে তারা কারখানা করে ১৯৭০ সালে।

১৯৯০ সালের অক্টোবরে বার্জারে যোগ দিলেন রূপালী চৌধুরী। এ দেশে বার্জারের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে প্রথম নারী কর্মী তিনি। সিবা গেইগি ছেড়ে বার্জারে কেন? উত্তরে রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘আবদুল হক তখন চট্টগ্রামে। আমি চট্টগ্রামে থাকার জন্য একটি চাকরি খুঁজছিলাম। পত্রিকায় বার্জারের একটি পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখলাম। তাঁরা বেশ কয়েক দফা সাক্ষাৎকার নিলেন। পরিকল্পনা ব্যবস্থাপক পদে একটি মেয়ে কাজ করতে পারবে কি না, এটা নিয়ে তাঁরা দ্বিধায় ছিলেন।’

রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘অনেক কষ্টে আমার চাকরিটা হয়। ওই পদে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করতে হবে, কাস্টমসের সঙ্গে কাজ করতে হবে, বন্দরে যেতে হবে। ওই সময় একটি মেয়ে এসব কাজ করতে পারবে, সেটা তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।’ 

রূপালী চৌধুরী কাজটি ভালোভাবেই করেছিলেন। সে কারণেই বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নারী, এই ভেবে নিজে থেকে কখনো গুটিয়ে যাইনি।’ 

২০০৪ সালে রূপালী চৌধুরী বার্জারের পরিচালক হন। এরপর ২০০৮ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। 

কী চেয়েছিলেন, কী হলেন
‘হতে পারতাম তো অনেক কিছুই। আমার বড় ভাই শান্তিনিকেতনে ভর্তির ফরম নিয়ে এসেছিলেন। বাবা বললেন, অনেক গান শেখা হয়েছে, এবার পড়ালেখা করো,’ বলেন রূপালী চৌধুরী। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখনকার তরুণদের লক্ষ্য খুব পরিষ্কার। কিন্তু আমাদের সময়ে আমরা জানতাম না কী হতে চাই। তবে আমি আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হতে চেয়েছিলাম।’ 

বার্জারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদটি কি লক্ষ্যে ছিল? রূপালী চৌধুরীর জবাব, ‘আমি ভাবিনি। একটার পর একটা পদে গিয়ে মনে হয়েছে, কাজটা আমি করতে পারি, আরও ভালোভাবে। এভাবেই হয়েছে।’

শুধু বার্জার নয়, রূপালী চৌধুরী বাণিজ্য সংগঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বারের দুবারের সভাপতি ও পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এখন বাটা বাংলাদেশ, লিনডে বাংলাদেশ ও সূর্যের হাসির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন। 

পছন্দ ইলিশ-পাবদা

স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে রূপালী চৌধুরীর পরিবার

রূপালী চৌধুরীকে প্রায়ই বিদেশে যেতে হয়। তখন দেশের কোন জিনিসটির অভাব বোধ করেন তিনি? উত্তর, ভাত, মাছ আর ডাল। প্রায় সব মাছই ভালো লাগে। তবে বিশেষ পছন্দ ইলিশ আর পাবদা।

খেতে কি খুব পছন্দ করেন? রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে দেখে বোঝো না?’ তবে ইদানীং স্বাস্থ্যসচেতন হয়েছেন। ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। দিন শুরু হয় ব্যায়াম করে।

বার্জারের কার্যালয় উত্তরায়। নয়টার কাছাকাছি সময়ে রূপালী চৌধুরী অফিসে পৌঁছে যান। ফেরেন সন্ধ্যায়। প্রায়ই পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়। বাকিটা সময় কাটে বই পড়ে, গান শুনে। অনেক সময় টেলিভিশনও দেখা হয়।

বইয়ের মধ্যে ফিকশন বিশেষ পছন্দ। সফলদের জীবনী পড়তে ভালোবাসেন। সম্প্রতি পড়েছেন ইসরায়েলের ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়া হারারির স্যাপিয়েন্স: এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ম্যানকাইন্ড বইটি। গান শোনেন অনেক ভাষার। 

শাড়ির মধ্যে সিল্ক ও সুতি পছন্দের তালিকায় আগে থাকে। 

‘দুঃখ করে মরার মানে নেই’ 

রূপালী চৌধুরী মনে করেন, সব সময় নিচের দিকে তাকাতে হয়। অমুকে ওই হয়েছে, তমুকে সেই হয়েছে, এসব নিয়ে দুঃখ করে মরার কোনো মানে নেই। নিজের জীবন নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট তো অবশ্যই, তার চেয়েও বেশি কিছু। 

বলেন, ‘আমি যা আশা করেছিলাম, তার অনেক বেশি পেয়েছি। আমি কখনো ভাবিনি, একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হব। কখনো ভাবিনি, বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব।’

২০১৮-১৯ হিসাব বছরে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের মোট পণ্য বিক্রির পরিমাণ ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। রূপালী চৌধুরী যখন বার্জারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন প্রতিষ্ঠানটি ৩৫০ কোটি টাকার মতো পণ্য বিক্রি করত। ১১ বছরে বিক্রি পাঁচ গুণের বেশি হয়েছে। 

বার্জারের মূল ব্যবসা রং। তারা সংশ্লিষ্ট নানা খাতে ব্যবসা বাড়াচ্ছে। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রূপালী চৌধুরী। তিনিই আসলে বার্জারের আসল রং। অবশ্য তিনি তা মানতে নারাজ। বলেন, এ সাফল্য এসেছে তাঁর সব সহকর্মীর ঐকান্তিক পরিশ্রমের মাধ্যমে। 

চারটি প্রশ্ন
নেতা হিসেবে গুণ কী কী
মানুষের সঙ্গে সহজে মিশতে পারা। মানুষের প্রতি সহজাত ভালোবাসা রয়েছে। এ ছাড়া সততা ও শৃঙ্খলা আজ তাঁকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সঙ্গে কাজটাও ভালো করে জানতে হয়েছে।

বার্জারে কী যোগ করেছেন

বার্জারে আগ্রাসী বিপণন কৌশল নিয়েছেন। ফলে ব্যবসা বেড়েছে। রং–সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ঠিক করেছেন। ১০ বছরে ব্যবসা বেড়েছে পাঁচ গুণের বেশি।

তরুণদের প্রতি পরামর্শ

তরুণেরা পরামর্শ শুনতে তেমন পছন্দ করে না। তবে কেউ জানতে চাইলে বলবেন, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ধৈর্য থাকতে হবে। চটজলদি সবকিছু পাওয়া সম্ভব নয়।

বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। অনেক কাজ হচ্ছে। তবে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে দেখাতে হবে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজ। আর্থিক নীতিমালা ঘন ঘন পরিবর্তন করা উচিত নয়। বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আরও প্রতিযোগিতামূলক আকর্ষণীয় প্রণোদনা দেওয়া উচিত। এখানে মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি দেশই বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।
একনজরে বার্জার
প্রতিষ্ঠাতা
জার্মান নাগরিক লুইস বার্জার ১৭৬০ সালে যুক্তরাজ্যে গিয়ে রাসায়নিকের ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫০ সালে বার্জার উপমহাদেশে আসে। বাংলাদেশে কারখানা করে ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। পৃথিবীর অনেক দেশে বার্জারের ব্যবসা রয়েছে।
পুঁজিবাজারে নিবন্ধন
বার্জার পেইন্টস লিমিডেট ২০০৫ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নিবন্ধিত হয়। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে বার্জারের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দাম ছিল ১ হাজার ৫৩০ টাকা।
পণ্য
বার্জারের মূল্য ব্যবসা রং। বাড়ি, কাঠ, শিল্পকারখানা, নৌযান ইত্যাদি ব্যবহৃত নানা ধরনের রং উৎপাদন করে তারা। এ ছাড়া রয়েছে আঠা, নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ইত্যাদির ব্যবসা।
বছরে বিক্রি
২০১৬-১৭ ১৪৬২ কোটি ২০১৭-১৮ ১৬৪৮ কোটি ২০১৮-১৯ ১৭৭৩ কোটি (এপ্রিল-মার্চ হিসাব)
বাজার হিস্যা
রঙের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য বার্জারের। বাজার জরিপ অনুযায়ী বার্জারের হিস্যা ৫০ শতাংশের মতো। এ খাতে দ্বিতীয় শীর্ষ কোম্পানির হিস্যা ২০ শতাংশের কম।