Thank you for trying Sticky AMP!!

বিবাহবিচ্ছেদে খরচ বাড়ছে

প্রতীকী ছবি

বিবাহবিচ্ছেদে খরচ বাড়ছে। এখন কেউ বিবাহবিচ্ছেদ করতে চাইলে বাড়তি দেড় হাজার টাকা গুনতে হবে। এত দিন ডিভোর্স ইন্সট্রুমেন্টে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হতো ৫০০ টাকা। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এটা দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এদিকে ঢাকায় বিয়ে নিবন্ধনের খরচও বেড়েছে। বিয়েতে কাজির ফি এখন লাগামছাড়া। বিয়ে পড়ানোর হাদিয়া, অফিস খরচ, নিকাহনামার বাংলা নকল, ইংরেজি নকল ও বিয়ে সনদের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর বিধান অনুযায়ী, প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। রাজধানী ঢাকায় বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ আদায় করছেন। বিবাহ নিবন্ধনের পাশাপাশি এবার বিবাহবিচ্ছেদেও খরচ বাড়ছে। আজ সংসদে উপস্থাপিত অর্থ বিলে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি দুই হাজার টাকা করার কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ঢাকায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, করোনা মহামারি সময়ে ঢাকায় দৈনিক ৩৯টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতি ৩৭ মিনিটে একটি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, কয়েক বছর ধরে দেশে বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা বাড়ছে। শিক্ষিত স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে এটা বেশি হচ্ছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত ‘দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বেশির ভাগই বলছেন ‘বনিবনা না হওয়ার’ কথা। স্ত্রীর করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ভরণপোষণ না দেওয়া, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক, মাদকাসক্তি, পুরুষত্বহীনতা, ব্যক্তিত্বের সংঘাত। আর স্বামীদের আবেদনে স্ত্রীর বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়া, অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলাসহ বিভিন্ন কারণের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে।