Thank you for trying Sticky AMP!!

মধুমতি ব্যাংকের যত সেবা

দেশের চতুর্থ প্রজন্মের মধুমতি ব্যাংক ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকটির সঙ্গে প্রভাবশালী সাংসদ, বড় শিল্প গ্রুপ ও কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত। ব্যাংকটি যদিও অস্বাভাবিক গতিতে আর্থিক স্থিতিপত্র বড় করেনি। করপোরেট সুশাসন বজায় রেখে ছয় বছর ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আধুনিক ও ভালো সেবা দিয়ে গ্রাহক টানার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ব্যাংকটি স্লোগান ‘ইয়োর অ্যাকসেস টু সাকসেস’। অর্থাৎ গ্রাহকদের সফল করার জন্য ব্যাংকটি সেবা দেওয়ার ব্রত নির্ধারণ করেছে।

এই সেবা দিতে ব্যাংকটির রয়েছে নানা ধরনের আমানত ও ঋণপণ্য। এর মধ্যে অনেক সেবা রয়েছে, যা মধুমতিই প্রথম চালু করেছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যেও অনেক সেবা মধুমতি আগে চালু করেছে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ব্যাংকটির আমানত ও ঋণপণ্যগুলো। টাকা জমার জন্য ব্যাংকটির রয়েছে সঞ্চয়ী হিসাব, মুক্তিযোদ্ধা সঞ্চয়ী হিসাব, প্রত্যাশা স্কুল ব্যাংকিং সঞ্চয়ী হিসাব, তারুণ্য সঞ্চয়ী হিসাব, লাবণ্য সঞ্চয়ী হিসাব, করপোরেট গ্রাহকদের বেতনের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব, পোশাক খাতের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব, প্রায়োরিটি ব্যাংকিং হিসাব অন্যতম। বিভিন্ন মেয়াদি আমানত পণ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ৩ ও ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়ী, ডাবল বেনিফিট স্কিম, ত্রিপল বেনিফিট স্কিম, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রত্যাশা হিসাব, স্থায়ী আমানত হিসাব। মুক্তিযোদ্ধারা সঞ্চয়ে ১ শতাংশ বেশি সুদ দেয় মধুমতি ব্যাংক। 

ব্যাংকটির রয়েছে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডও। ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে ভিসা প্লাটিনাম, ভিসা গোল্ড ও ভিসা ক্ল্যাসিক কার্ড রয়েছে। ব্যাংকটির প্রায় ২৬ হাজার ডেবিট কার্ড ও প্রায় ২ হাজার ৩০০ ক্রেডিট কার্ড রয়েছে।

খুচরা ঋণপণ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত, গাড়ি, বাড়ি ও শিক্ষকদের জন্য দিশারি ঋণ। এসএমই গ্রাহকদের জন্য রয়েছে গতি, প্রগতি, অগ্রগতি, মৌসুমি ও লাবণ্য ঋণপণ্য। কৃষি খাতের ঋণ দিতে রয়েছে তিনটি আলাদা ঋণপণ্য। ব্যাংকটির ৩ হাজার ৭৯৭ কোটি ঋণের মধ্যে করপোরেট খাতেই ৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া এসএমই খাতে ঋণ ৭১৪ কোটি টাকা ও খুচরা পণ্যে ৮৬ কোটি টাকা। 

মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সফিউল আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা করপোরট সুশাসন চর্চার সর্বোচ্চটা মেনে চলার চেষ্টা করছি। হঠাৎ করে অনেক মুনাফা করা বা বড় ব্যাংক হওয়ার ইচ্ছে আমাদের নেই। ব্যাংকটি যত বড় হবে, তা যেন শক্ত ভিত্তির ওপর হয়।’ 

এ ছাড়া প্রবাসী গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকটির রয়েছে আলাদা সেবা। ট্রেড সেবা, অফশোর ব্যাংকিংসহ আরও নানা পণ্য রয়েছে ব্যাংকটির। এ ছাড়া সারা দেশের ৩৪৬টি পয়েন্টে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে মধুমতি ব্যাংক। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে চলছে এসব সেবা। 

পাশাপাশি রাজধানীর পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সিটি করপোরেশনসহ আরও নানা প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা বিল সংগ্রহ করে মধুমতি ব্যাংক। 

ব্যাংকটির এমন কিছু সেবা রয়েছে, যা অনেক ব্যাংকের নেই। এর মধ্যে অন্যতম হলো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রিভিলেজ ব্যাংকিং সুবিধা, প্রায়োরিটি ব্যাংকিং, সামাজিক ভাতা প্রদান, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, হোল্ডিং কর সংগ্রহ ও লকার সেবা।

ব্যাংকটি আরও কিছু নতুন সেবা চালুর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইকো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সব সেবা সব পরিষেবা বিল সংগ্রহ, ক্লাস্টারভিত্তিক ছোট ও কৃষিঋণ বিতরণ, সামাজিক ভাতা বিতরণ। পাশাপাশি মধুমতি ব্যাংক একমাত্র ব্যাংক, যারা স্বর্ণ আমদানির জন্য ডিলার লাইসেন্স নিয়েছে। ব্যাংকটি শিগগির স্বর্ণ আমদানি করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

কার্যক্রম শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ 
আমানত—৪,৮৫৪ কোটি
ঋণ—৩,৭৯৭ কোটি
শাখা—৩৮টি
এজেন্ট পয়েন্ট—৩৪৬টি
গ্রাহক—১,৯১,০২৪ জন
কর্মী—৫২৮ জন