Thank you for trying Sticky AMP!!

মার্চ মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে একনেকের বৈঠক। এনইসি সম্মেলনকক্ষ, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা, ৯ এপ্রিল। ছবি: পিআইডি

চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে মাসওয়ারি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। জানুয়ারি মাসের পর থেকেই টানা দুই মাস মূল্যস্ফীতি বাড়ল। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য দেন।

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন বলেন, শাক সবজি ও মুরগির দাম বৃদ্ধির কারণে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

বিবিএসের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, খাদ্যপণের মধ্যে গত মার্চ মাসে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ভোজ্য তেল, ফলমূল ও অন্য খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে।

গত মার্চ মাসে সার্বিকভাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বিবিএসের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত মার্চ মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, গত মার্চ মাসে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। গত মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আর গ্রামে ছিল এ হার ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।