Thank you for trying Sticky AMP!!

যেখানে দান করলে কর ছাড় মেলে

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস তাঁর সম্পদ ও আয়ের বিরাট অংশ দান করেছেন। জনপ্রিয় ফোর্বস সাময়িকীর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়নের বেশি। প্রতিবছর তাঁর আয়ের একটি বিরাট অংশ দান করেন। যেমন মাইক্রোসফটের শেয়ার বিক্রির অর্থ তিনি দান করে দিয়েছেন। কিন্তু বিল গেটস বাংলাদেশের করদাতা হলে এই বিপুল অর্থসম্পদ দান করে পুরোপুরি কর রেয়াত পেতেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

কারণ, বাংলাদেশে একজন করদাতা তাঁর আয়ের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ দান করে কর রেয়াত পেতে পারেন। ২৫ শতাংশের বেশি হলে বাড়তি দানের অর্থের ওপর কর দিতে হয়। এ ছাড়া একজন করদাতা শর্ত সাপেক্ষে টাকার অঙ্কে সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে কর রেয়াত পেতে পারেন।

যেখানে দান করলে কর রেয়াত মিলবে—জাকাত তহবিল; জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক অনুমোদিত দাতব্য হাসপাতাল; প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান; মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর; আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক; আহসানিয়া ক্যানসার হাসপাতাল; আইসিডিডিআরবি; সিআরপি; সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; এশিয়াটিক সোসাইটি; ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান।

যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা খাতে দান করলেই কর রেয়াত মিলবে না। এ জন্য সরকার কিছু খাত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার দেখা যাক, কোন কোন খাতে দান করলে কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

খাতগুলো হলো জাকাত তহবিল, জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক অনুমোদিত দাতব্য হাসপাতাল, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক, আহসানিয়া ক্যানসার হাসপাতাল, আইসিডিডিআরবি, সিআরপি, সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান

Also Read: অল্প সময়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হলে জেনে নিন

কর রেয়াত পেতে দান বা বিনিয়োগের হিসাব করার কিছু নিয়ম আছে। একজন করদাতার তাঁর আয়ের দান বা বিনিয়োগের প্রকৃত পরিমাণ; আয়ের ২৫ শতাংশ কিংবা দেড় কোটি টাকা—এর মধ্যে যেটি কম, তা কর রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য হবে। করদাতার বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি হলে দানের ১০ শতাংশ কিংবা আয় ১৫ লাখ টাকার কম হলে দানের ১৫ শতাংশ কর রেয়াত পাওয়া যাবে।