Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীতে ট্রেড-ক্র্যাফট এক্সচেঞ্জের কর্মশালা

ট্রেড-ক্র্যাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও বিকাশ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ইকোয়ালি-টি ৩ নামক প্রকল্পের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ট্রেড-ক্র্যাফট এক্সচেঞ্জ

উত্তারাঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় ছিল খরা জমিতে ফসল ফলানো। অথচ এই জমি চা–চাষের জন্য খুবই উপযোগী। দারিদ্র পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ইকোয়ালি-টি প্রকল্প চা উৎপাদনের নানা কৌশল ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এই প্রকল্পের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ট্রেড-ক্র্যাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও বিকাশ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মশালা। আজকের কর্মশালায় কাইজেন সি আর এস নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক ও শিক্ষণীয়গুলো তুলে ধরে। এখানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহিদাস জোদ্দার।

এই প্রকল্পের আওতায় যাদের জমির পরিমাণ কম ও যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান, চা–চারা সরবরাহ ও নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে চা–চাষে উৎসাহিত করা হয়। এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ১৫০০ পরিবার (৭৫০০ মানুষ) ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জমি থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে তাদের জীবনে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসছে। কাইজেন সি আর এস এর গবেষণা অনুযায়ী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক উপার্জনে সক্ষম হচ্ছে।

ট্রেড-ক্র্যাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা। এটি বাংলাদেশের উত্তারাঞ্চলে চা–চাষের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউকে এইড, ক্রিশ্চান এইড, যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি ট্রাস্ট এবং ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের এবং ব্রিটিশ আইলসের হাজার হাজার নাগরিক এই চা প্রকল্পে অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করছে। প্রকল্পটির সার্বিক বাস্তবায়নে কাজ করেছে বিকাশ বাংলাদেশ। বিজ্ঞপ্তি