লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে দুই সরকারি কোম্পানি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে লাইসেন্স না নিয়েই ব্যবসা করে যাচ্ছে দুই সরকারি টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানি। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
এর মধ্যে টেলিটক তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স নেয়নি। আর বিএসসিসিএল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিটিআরসি থেকে কোনো লাইসেন্সই নেয়নি।
টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী, দেশে লাইসেন্স ছাড়া যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া অবৈধ। কিন্তু সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
২০০৮ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে গত ৯ বছরে বিটিআরসির কাছে ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোনো লাইসেন্স নেয়নি বিএসসিসিএল। এটি দেশে সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ বিক্রির একমাত্র প্রতিষ্ঠান। বিটিআরসি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাইসেন্স নেওয়ার ফি বাবদ বিটিআরসিতে বিএসসিসিএলের বকেয়া পড়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। লাইসেন্স না নেওয়ায় তা নবায়নের ফিও বিএসসিসিএলের কাছ থেকে পাচ্ছে না বিটিআরসি। এ বাবদ প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া মোট বার্ষিক আয়ের ৩ শতাংশ আয় ভাগাভাগির (রেভিনিউ শেয়ারিং) টাকাও গত ৯ বছরে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে পরিশোধ করেনি বিএসসিসিএল।
লাইসেন্স ফিসহ অন্য বকেয়া পরিশোধে বিএসসিসিএলকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে তিনবার চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। তবে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি।
২০১২ সাল থেকে দেশে সবার আগে থ্রিজি চালু করলেও এই সেবা দেওয়ার লাইসেন্স এখনো নেয়নি টেলিটক। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিটিআরসির পাওনা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি টাকা। মূল লাইসেন্স না নেওয়ায় নবায়ন ফিও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে পরিশোধ করেনি টেলিটক।
তবে টেলিটকের কাছে বিটিআরসির সবচেয়ে বড় বকেয়া পড়েছে থ্রিজি তরঙ্গের মূল্য বাবদ। তরঙ্গের বিপরীতে টেলিটকের বকেয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে অপারেটরটির কাছে থ্রিজির ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ আছে। বকেয়া আদায়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে টেলিটককেও একাধিকবার চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নিতে একাধিকবার বলা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি সমাধানে আসতে বিটিআরসি কাজ করে যাচ্ছে।
বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন ও টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
-
আগামীকালও ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় পালা বন্ধ হচ্ছে, শাখা ক্যাম্পাস হবে আলাদা প্রতিষ্ঠান
-
দাবদাহের বিপদে রাজধানীর ৯০% এলাকা