Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্রমিকেরা সময়মতো মজুরি পাবেন

রুবানা হক

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী কারখানার তৈরি পোশাকশ্রমিকেরা সময়মতো মজুরি পাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেছেন, ‘শ্রমিকেরা সময়মতো মজুরি পাবেন। একটুও ভয় পাবেন না। ভরসা রাখুন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তারা (সরকার) পোশাকশিল্পের পাশে আছে।’
বিজিএমইএর সভাপতি আজ সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পোশাকের ক্রয়াদেশের পরিস্থিতি শোচনীয়। চার দিনে প্রায় দেড় শ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। ক্রেতারা চলমান ক্রয়াদেশের পোশাক কবে নেবে, সেটিও বলছে না। দেড় শ কোটি ডলারের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতের কারণে ১২ লাখ পোশাকশ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সদস্য কারখানাগুলোকে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ার তথ্য বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ করেন রুবানা হক। কারখানামালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ধৈর্য হারাবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। আমরা সবাই তাঁর ভাষণের জন্য অপেক্ষা করব। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো জায়গা নেই। আপনারা আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। কোথায় কোন কারখানা বন্ধ হচ্ছে, সেটি জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে শ্রমিক ভাইবোনেরা মজুরি পাবেন কি না। তাঁরা (শ্রমিকেরা) তাঁদের মজুরি সময়মতো পাবেন।...’
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘অন্তত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভরসা রাখুন। তিনি ৪১ লাখ পোশাকশ্রমিকের বাইরে অন্যান্য শিল্পের শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী যত দিন আমাদের সঙ্গে আছেন, তত দিন আমরা পানিতে পড়ব না।’
আতঙ্ক ছড়ায়, এমন সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রুবানা হক। তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আবেদন করুন, তারা যেন কারখানায় প্রস্তুত হওয়া পোশাক নেয়। অন্তত আমাদের পোশাকশিল্পের মালিকদের চলার জায়গাটি তৈরি করুন। না হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিটি কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। বড়, মাঝারি, ছোট—প্রতিটি কারখানা বন্ধ হবে।’