Thank you for trying Sticky AMP!!

'সাদা কাগজে' স্বাক্ষর নিয়ে কর্মী ছাঁটাই

প্রতীকী ছবি

রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ইউরোজোন ফ্যাশনের মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স নির্বাহী পদে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে কাজ করেন এ কে আজাদ। গত ১১ জুন কারখানায় কাজ করছিলেন। সেদিন দুপুরের দিকে তাঁকে কনফারেন্স রুমে ডেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছাঁটাই করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে জুন মাসের বেতন কিংবা আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ কিছুই দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। 

স্ত্রী ও ছোট্ট দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে এ কে আজাদের সংসার। চাকরি চলে যাওয়ায় চলতি মাসে বাড়িভাড়া দিতে পারেননি। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজাদ বললেন, কোনো রকমে ডালভাত খেয়ে আছি। পরিবার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে বাসাভাড়ার খরচটা অন্তত বাঁচবে।

>ইউরোজোন ফ্যাশন
শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই করলেও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাটি

এ কে আজাদসহ ১০ জন কর্মচারীকে বিনা নোটিশে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করেছে রাজধানীর বাড্ডার ইউরোজোন ফ্যাশন কর্তৃপক্ষ। পাওনা বুঝে পেতে ২৩ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে (ডিআইএফই) অভিযোগ করেন তাঁরা। বিষয়টি মধ্যস্থতার জন্য অধিদপ্তর ২ জুলাই সভা ডাকলে এক সপ্তাহ সময় চায় ইউরোজোন কর্তৃপক্ষ।

পরে গত বৃহস্পতিবার ত্রিপক্ষীয় সভায় চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের আইনানুগ পাওনা বুঝিয়ে দিতে কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করার নামে আবার সময় চেয়ে নেন কারখানার দুই কর্মকর্তা। আগামী বৃহস্পতিবার আবার সভা হওয়ার কথা।