Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেট সীমান্ত দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কয়লা উত্তোলন-প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতার কারণে সিলেট বিভাগের একটি স্থলবন্দর ও পাঁচটি শুল্কস্টেশন দিয়ে ১০ দিন ধরে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দর ও শুল্কস্টেশনের শ্রমিকেরা, লোকসান গুনছেন আমদানিকারকেরা।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ভারতের পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাশনাল িগ্রন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) কয়লা উত্তোলন-প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতে একটি রিট আবেদন করায় আদালতের নির্দেশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে ১৬ মে থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর, সুতারকান্দি ও শেওলা শুল্কস্টেশনের পাশাপাশি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগালি শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। ১৯ মে দিল্লি সুপ্রিম কোর্টে এই রিটের শুনানি হওয়ার পর সেটি শিলং হাইকোর্টে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে শিলং টাইমস-এর অনলাইন সংস্করণে গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২ জুন শিলং হাইকোর্টে এই রিট আবেদনের শুনানি হবে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, যে প্রক্রিয়ায় কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে সেটি পরিবেশবান্ধব নয়।
সুনামগঞ্জের আমদানিকারক চৌধুরী আর এইচ শাহীন জানান, কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় জেলার আমদানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কেননা, ভারতে তাঁদের অনেক কয়লা আটকে আছে।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, সুনামগঞ্জের তিনটি শুল্কস্টেশন দিয়ে পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী কয়লা আমদানি করেন। প্রতিদিন পাঁচ–ছয় হাজার টন কয়লা আমদানি হয়।
তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলি শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৫০-৬০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় কমেছে৷