Thank you for trying Sticky AMP!!

১১৩ কোটি টাকা ভ্যাট দাবি নাকচ

১১৩ কোটি টাকার ভ্যাটের দাবি নাকচ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে গত বছর ওই টাকা ভ্যাট হিসেবে দাবি করেছিল মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর এই বিষয়টি সুরাহার জন্য এনবিআরের কাছে যায় সিডিবিএল। সিডিবিএল ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী নয়, তাই ভ্যাটের ওই টাকা দাবি যৌক্তিক নয়-গত সপ্তাহে তা জানিয়ে দিয়েছে এনবিআর।

মূসক নিরীক্ষা, তদন্ত ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর অর্থাৎ এই পাঁচ বছরের লেনদেন হিসাব করে ১১২ কোটি ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫২ টাকা দাবি করে। প্রতিষ্ঠানটি মাশুলের বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ইলেকট্রনিক ফরমে সংরক্ষণ করে এবং উক্ত শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদান করে।

সম্প্রতি বিডিবিএল ও মূসক নিরীক্ষা, তদন্ত ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এনবিআর। বৈঠকে উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনেন এনবিআরের সদস্য মাসুদ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে এনবিআর সিদ্ধান্ত দেয় যে, এই দাবি মূসক আদায় অযৌক্তিক।

গত ২৭ জুলাই এনবিআর বলেছে, সেবা খাত হিসেবে (ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী) মূসক ও সুদ বাবদ ১১৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা এই ধরনের সেবা অন্তর্ভুক্ত হবে না। সিডিবিএল ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়। সিডিবিএল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানও নয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সিডিবিএলের নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য মাসুদ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, আইনের ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। একজন কমিশনারের মনে হয়েছে, সিডিবিলের সেবা মূসকযোগ্য। কিন্তু বিষয়টি আমাদের কাছে আসার পর উভয় পক্ষের যুক্তি শুনেছি। এনবিআর সিদ্ধান্ত দিয়েছে, দাবি করা ভ্যাটের টাকা আদায় যৌক্তিক নয়।