Thank you for trying Sticky AMP!!

১৫ সেপ্টেম্বর চ্যানেল আইয়ে ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদের চূড়ান্ত পর্ব

মাতৃভাষার চর্চায় আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজ প্রায় বিমুখ। ভিন্ন সংস্কৃতির আগ্রাসনে তারা আজ নিজেদের শিকড় ভুলতে বসেছে। মেধা ও মননে একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। যার ফলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পৌঁছাতে পারছে না কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায়। তাই এ প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও চর্চার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে ইস্পাহানি গ্রুপ। ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মের কাছে শুদ্ধ বাংলা, বানান ও ব্যবহারে উৎসাহিত করা, ভুল ও অপপ্রয়োগের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করা, সর্বোপরি বাংলা ও বাংলা ভাষার নবজাগরণ। আমাদের মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা ও অসচেতনতা থেকে জেগে উঠে মাতৃভাষার শুদ্ধ চেতনায় ফিরে আসার ডাক দিচ্ছে ইস্পাহানি। আর প্রথমবারের মতো আয়োজিত এবারের ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ কাঙ্ক্ষিত দর্শকমহল ও গণমাধ্যমে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে চাকরিজীবী সবাই ছিলেন এ আয়োজনের নিয়মিত দর্শক। তরুণদের মধ্যে মাতৃভাষা বাংলার উন্নয়ন ও জাগরণে এমন তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দর্শক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সাতটি বিভাগীয় শহরে বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠানের প্রথম ধাপ। দেশের সব বাংলা, ইংরেজি ও মাদ্রাসা কারিকুলামের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির (ইংরেজি মাধ্যমের স্ট্যান্ডার্ড সিক্স থেকে ও-লেভেলস) ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শীর্ষ ৮০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ধাপ। সাহিত্য ও ব্যাকরণভিত্তিক প্রশ্ন, মজার বাগধারা, ছবির ধাঁধা, বাজানো পর্ব, উপস্থিত বক্তৃতা, সৃজনশীল লেখনী, সমসাময়িক ছবির ভুলসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা প্রতিযোগিতা নিয়ে সাজানো স্টুডিও রাউন্ড ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

১৫ সেপ্টেম্বর চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে চূড়ান্ত পর্ব। বাংলা ভাষার জ্ঞান, মেধা ও মননশক্তির বিচারে এ বছরের ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ পুরস্কার হিসেবে পাবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। ২য় ও ৩য় সেরা পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। এ ছাড়া শীর্ষ দশের প্রত্যেকেই পাবে ল্যাপটপ, বইয়ের আলমারি, বইসহ মোট ৫০ হাজার টাকার মূল্যমানের পুরস্কারসামগ্রী।

ইস্পাহানি বিশ্বাস করে, ধারাবাহিক আয়োজনের মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরও সমৃদ্ধ এবং মেধা ও মননে ভরপুর এক দেশ। যার ভবিষ্যৎ নাগরিকেরা অন্যের ধার করা সংস্কৃতি নয়, বরং নিজেদের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেবে বিশ্বময়। বিজ্ঞপ্তি।