Thank you for trying Sticky AMP!!

২০২১ সালের আগেই সব মানুষ টেলিযোগাযোগ সেবার আওতায়

আগামী ২০২১ সালের আগেই দেশের সব মানুষকে টেলিযোগাযোগ এবং অর্ধেক মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে সংশোধন হতে যাচ্ছে বর্তমান টেলিযোগাযোগ নীতিমালা। নতুন নীতিমালার খসড়া আজ বৃহস্পতিবার থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
সংশোধিত নীতিমালার ওপর ২০ আগস্ট পর্যন্ত ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করতে পারবেন যেকোনো আগ্রহী ব্যক্তি।
খসড়া নীতিমালাটির ওপর সাংবাদিকদের মতামত নিতে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বৈঠকে নীতিমালার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন যুগ্ম সচিব মো. হুসনুল মাহমুদ খান ও সিনিয়র সহকারী সচিব রায়হান আখতার।
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ টেলিযোগাযোগ সেবার আওতায় আছে। খসড়া নীতিমালায় ২০১৮ সালের মধ্যেই তা ৯০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে। আর মধ্য মেয়াদে ২০২১ সালের আগেই দেশের সব মানুষকে টেলিযোগাযোগ সেবার আওতায় আনার লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২৭ শতাংশ বা ৪ কোটি ৮৩ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার মধ্য মেয়াদে ২০২১ সালের আগেই ৫০ শতাংশ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ২০২৫ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সময়ে দেশে ব্রডব্যান্ড বা উচ্চগতির ইন্টারনেটের ব্যবহার যথাক্রমে ৩০ ও ৬০ শতাংশে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১০ জনের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ওই লক্ষ্যমাত্রাকে পেছনে ফেলে ২০১০ সালেই দেশের টেলিঘনত্ব ৪০ শতাংশ অতিক্রম করে।
খসড়া নীতিতে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম বা পণ্য উৎপাদন ও সেবার মান উন্নয়নে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই ১৯৯৮ সালে প্রণীত টেলিযোগাযোগ নীতিমালাটি সংস্কারের দাবি করে আসছেন। এর আগে দুবার সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
গতকালের বৈঠকে সাংবাদিকেরা ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেবার মান ও গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা, স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ানো, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করেন।