Thank you for trying Sticky AMP!!

লাইটার জাহাজ বরাদ্দ সভার প্রথমদিন ৪৫টি জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আইভোয়াকের কার্যালয়ে

প্রথম দিনেই ৪৫ জাহাজ বরাদ্দ দিল আইভোয়াক

চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজমালিকদের সংগঠনের ব্যানারে লাইটার জাহাজ পরিচালনার প্রথম দিনে ৪৫টি জাহাজ পণ্য পরিবহনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বুধবার আগ্রাবাদে ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং বা আইভোয়াকের কার্যালয়ে এসব জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বরাদ্দ দেওয়া জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ১১টি বড় জাহাজ থেকে পণ্য নিয়ে দেশের নানা গন্তব্যে যাবে। এই ৪৫টি জাহাজের ধারণক্ষমতা ৭২ হাজার টন। জাহাজ বরাদ্দ দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইভোয়াকের প্রধান উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

দুই দশক ধরে লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল থেকে গত নভেম্বরে বেরিয়ে যায় চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজমালিকদের সংগঠন আইভোয়াক। বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় এক মাসের মাথায় মঙ্গলবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে নিজেরাই পণ্য পরিবহন শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তাঁরা। উদ্বোধনের পর প্রথম দিন জাহাজ বরাদ্দ অনুষ্ঠান হয় আজ বুধবার সন্ধ্যায়।

আইভোয়াকের মুখপাত্র পারভেজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আমদানিকারকের প্রতিনিধিদের চাহিদা অনুযায়ী লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

এদিকে একই দিনে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল বরাদ্দ দিয়েছে ১১টি জাহাজ। একক সংস্থার বদলে এখন দুটি আলাদা সংস্থা জাহাজ বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলে পণ্য পরিবহন খাতে প্রতিযোগিতা এবং আমদানিকারকদের বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। লাইটার জাহাজ পরিচালনায় একক নিয়ন্ত্রণ ভেঙে গেছে।

অভ্যন্তরীণ নদীপথে পণ্য পরিবহন হয় ছোট আকারের জাহাজ বা লাইটার জাহাজে। মূলত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য প্রথমে বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে স্থানান্তর করা হয়। এরপর নদীপথ ব্যবহার করে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহনের বার্ষিক পরিমাণ সাড়ে ছয় কোটি টন।