Thank you for trying Sticky AMP!!

রিহ্যাব

রিহ্যাবের নির্বাচনে প্রার্থী কমাতে বললেন প্রতিমন্ত্রী

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ভোটারসংখ্যা মাত্র ৪৭৬। তার মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এটি হাস্যকর।

গুলশান ক্লাবে গত মঙ্গলবার রাতে প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, এবার নির্বাচন হতেই হবে। প্রার্থী কমিয়ে ৩৫-৪০ জনে নিয়ে আসেন। আর কমাতে না পারলে উন্মুক্ত নির্বাচন হবে।

সভায় উপস্থিত কয়েকজন প্রার্থী বিষয়টি জানান। তাঁরা জানান, সভায় কয়েকজন প্রার্থী নিরপেক্ষ ভোটের পক্ষে কথা বলেন। আবার প্রার্থীদের কেউ কেউ প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আপনি যেটি করে দেবেন, সেটি আমরা মেনে নেব।’

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার প্যানেলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা তাড়াতাড়ি বসে প্রার্থী তালিকা কমিয়ে আনেন। প্রয়োজনে তিনি ভোটারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি তানভীরুল হক, প্রার্থীদের মধ্যে আরশি হায়দার, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ইন্তেখাবুল হামিদ, এম জি আর নাসির মজুমদার, লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা ২৯। তার মধ্যে ঢাকায় ২৬টি ও চট্টগ্রামে ৩টি পদ। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ৯০ জন ও চট্টগ্রামে ৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। ৩১ জানুয়ারি বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। পরে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ে ঢাকার দুজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

এদিকে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ করেই সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের আলোচনা সামনে আসে। এরপরই বিভিন্নভাবে তৎপরতা শুরু হয়। প্রার্থীদের সঙ্গে নসরুল হামিদের মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানান চার প্যানেলের শীর্ষ নেতারা। এরপর তফসিলে সংশোধন আনা হয়। এতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এমনকি ভোটের তারিখ তিন দিন পিছিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি করা হয়। যদিও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা গত শনিবার শেষ হয়। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেছিল নির্বাচন বোর্ড।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা ভোটে পাস করতে পারবেন না, তাঁরাই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। তবে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন সংগঠনের জন্য ভালো হয় না, সেটি ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

একসময় উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবের ভোটাভুটি হতো। ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। পরের তিন মেয়াদেও সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি হয়েছিল।