Thank you for trying Sticky AMP!!

জানুয়ারিতে ১৬৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

ডলার। ছবি: এএফপি

সরকারের দেওয়া নগদ প্রণোদনার কারণে প্রবাসী আয়ে যে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিল, তাতে কিছুটা ছেদ পড়েছে। গত জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। অথচ ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ ডলারের আয়। সে হিসাবে আগের মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে আয় কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। যদিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জানুয়ারিতে আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিল ৯০৯ কোটি ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ শতাংশ।

এদিকে টাকার বিপরীতে ডলারের দামও বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এক বছর আগেও আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতিডলারে দাম ছিল ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

প্রণোদনার কারণে গত বছরে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে। পুরো বছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলারের আয় পাঠান। আর ২০১৮ সালে এসেছিল ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ডলার। সেই হিসাবে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় ১৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান, ডিজিটাল হুন্ডি বন্ধের উদ্যোগ ও ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমায় বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে। আবার প্রবাসী আয় বিতরণে মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বেড়েছে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে চলতি বছরে আয় ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি অর্থবছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। গত আগস্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নিয়ে নীতিমালা জারি করে। এতে বলা হয়, ১ হাজার ৫০০ ডলারের কম আয় এলে কোনো নথি ছাড়াই প্রণোদনা পাওয়া যাবে।