Thank you for trying Sticky AMP!!

সব পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

এনবিআর

আমদানি করা বাণিজ্যিক পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আজ বুধবার ওই বোর্ডের এক দাপ্তরিক আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এখন থেকে আমদানি করা যেকোনো পণ্য শুল্কায়ন করে খালাস নেওয়া যাবে।

সাধারণ ছুটি শূরু হওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে বাণিজ্যিক পণ্য শুল্কায়ন ও খালাস বন্ধ রেখেছিল কাস্টমস। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া কনটেইনার পণ্যের জটে বন্দর কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রামের একটি সমন্বয় সভা থেকেও বাণিজ্যিক পণ্য শূল্কায়নে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মেহরাজ–উল–আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে সব কাস্টম হাউস ও কাস্টমস স্টেশনগুলোর স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হলো। তবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা উল্লেখ করা হয় আদেশে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম প্রথম আলোকে জানান, আজ থেকে আমদানি করা যেকোনো পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস করা যাবে।
করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় সাধারণ ছুটির সময় শুধু নিত্যপণ্য ও ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও সামগ্রী শুল্কায়ন ও খালাস করা যাবে বলে রাজস্ব বোর্ড অফিস আদেশ জারি করেছিল। কিন্তু বন্দরে পণ্য জমে অচলাবস্থার দিকে যেতে থাকলে পৃথক দুটি আদেশে শিল্পের কাঁচামালসহ আরও বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। এই তিনটি আদেশে বাণিজ্যিক পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রায় ২৭ দিন পর এখন বাণিজ্যিক পণ্য খালাসের সুযোগ দেওয়া হলো। কাস্টম হাউসে শুল্কায়নের পরই বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেওয়ার সুযোগ পান ব্যবসায়ীরা।