বাংলাদেশের জন্য প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কিছুটা বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ, যা আগের প্রক্ষেপণের চেয়ে ১ শতাংশ বাড়িয়েছে সংস্থাটি।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে গত জুনে প্রকাশিত একই রিপোর্টে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ ছিল মাত্র ১ শতাংশ। হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়বে, হতে পারে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অনুমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নেই। গত বছর বাজেট ঘোষণার সময় প্রথমে চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করে সরকার। সংশোধিত বাজেটে যা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, গত অর্থবছরে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির আগে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল প্রবৃদ্ধির দেশ। করোনার কারণে স্থানীয় উৎপাদন কার্যক্রম অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত অর্থবছরে রপ্তানি কমেছে। চলতি অর্থবছরেও রপ্তানিতে গতি কম। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিমিতি থাকতে পারে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা ব্যাপকভাবে দেওয়া হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এ কারণেই এমন ইতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে বলে প্রাক্কলন রয়েছে বিশ্বব্যাংকের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি নীতিনির্ধারকেরা যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে পারে, তাহলে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে।

এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।