Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসকে সামঞ্জস্যহীন বললেন অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলছেন, বিশ্বব্যাংকের এ পূর্বাভাস বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান উত্তরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। বিশ্বব্যাংকের এযাবৎকালের সব প্রক্ষেপণের যদি একটি তালিকা করা হয় তাহলে দেখা যাবে, তারা যে প্রক্ষেপণগুলো করে, তা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে! এবারও সেই গতানুগতিক ধারার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। সেখানে চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থা।

গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। সেখানে চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থা। আর আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বড় ধরনের ফারাক রয়েছে। এ কারণে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের দেওয়া পূর্বাভাসের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর এ বিবৃতি পাঠানো হয়।

বেসরকারি ও সরকারি ব্যয়, বিনিয়োগ, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ অর্থনীতির প্রায় সব খাত বেশ সক্ষম অবস্থানে রয়েছে। আমরা আমাদের সক্ষমতার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা অর্জন করি। এবারও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে প্রমাণ করব যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাই সঠিক।
আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থমন্ত্রী

বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘অর্থবছরের তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে, এখনো ৯ মাস বাকি। করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে শ্লথগতি তৈরি হয়েছিল। সরকারের উপযুক্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থা অর্থনীতিকে সুসংহত করেছে। বেসরকারি ও সরকারি ব্যয়, বিনিয়োগ, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ অর্থনীতির প্রায় সব খাত বেশ সক্ষম অবস্থানে রয়েছে। আমরা আমাদের সক্ষমতার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা অর্জন করি। এবারও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে প্রমাণ করব যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাই সঠিক।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষ অর্থনীতির প্রাণশক্তি, তারাই আবার প্রমাণ করবে বিশ্বব্যাংক যে প্রক্ষেপণ করেছে, তা সামঞ্জস্যহীন। সাহসী বাঙালি জাতি অতীতেও বারবার প্রমাণ করেছে, এবারও পারবে। গত ১০ বছর বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবার ওপরে ছিল, আমরা আত্মপ্রত্যয়ী যে ভবিষ্যতেও সে ধারা বজায় থাকবে।’