Thank you for trying Sticky AMP!!

লকডাউনে গরিব মানুষকে সহায়তা দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ: বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি ও কমার ব্যাপারটি তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।

  • প্রথমত, টিকাদান কর্মসূচির গতি-প্রকৃতি

  • দ্বিতীয়ত, চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ

  • তৃতীয়ত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কতটা হয়—এই বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করেই বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধির ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংক

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ আছে। এ ধরনের অনিশ্চয়তা কতটা দীর্ঘায়িত হয়, এর ওপর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে। লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধে গরিব মানুষকে সহায়তা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। গরিব মানুষকে চিহ্নিত করে তাঁদের সুরক্ষা দিতে হবে। এ ধরনের বিধিনিষেধে গরিব মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হেভেন আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ উপলক্ষে ভার্চ্যুয়ালি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বার্নার্ড হেভেন প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি ও কমার ব্যাপারটি তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। প্রথমত, টিকাদান কর্মসূচির গতি-প্রকৃতি; দ্বিতীয়ত, চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ; তৃতীয়ত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কতটা হয়—এই বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করেই বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধির ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে।

তাহলে বাংলাদেশের কী করা উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, সবুজ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির কৌশল ঠিক করতে হবে। করোনাকালে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সচল থাকা সম্ভব হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরবরাহব্যবস্থা আধুনিক করতে হবে।

মার্সি টেম্বন আরও বলেন, লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক খাতের মানুষ সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে। এমন গরিব মানুষকে সুরক্ষা দিতে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি নগদ সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার। তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের টিম কাজ করছে। তবে বাজেট সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নির্ভর করে বাংলাদেশ আর্থিক খাতে কী ধরনের সংস্কার করছে, সেটার ওপর।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা আছে। চলতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে (গত জুলাই-জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রামের শ্রমবাজারে আবার চাঞ্চল্য এসেছে, অনেকেই কাজে ফিরতে শুরু করেছে।