Thank you for trying Sticky AMP!!

লোকসানে গেলে বৈদেশিক বাণিজ্য কঠিন হবে

আবদুল হালিম চৌধুরী।
>

করোনায় ব্যাংকের ঋণ আদায় প্রায় বন্ধ। এ অবস্থায় এপ্রিল ও মে মাসের ঋণের সুদকে আয় হিসেবে না দেখিয়ে 'ব্লকড হিসাবে' রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকাররা বলছেন, এতে ব্যাংকগুলো লোকসানে চলে যাবে। এ বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বড় ব্যাংকগুলো মাসে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সুদ আয় করে। এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় তা কমে ২০০ কোটিতে নেমেছে। এখন দুই মাসের সুদ ‘ব্লকড’ হিসাবে নিলে ব্যাংকগুলো লোকসানে চলে যাবে। এমনিতে ঋণ আদায় কম। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, কেউ কিছু বলতে পারছি না। ব্যাংকগুলোর যে লোকসান হবে, তার জন্য সরকার কী উদ্যোগ নিচ্ছে সেই অপেক্ষায় আছি। নিশ্চয়ই কিছু সুবিধা আমরাও পাব। সরকার সেটা ভর্তুকি হিসেবেও দিতে পারে, অথবা অন্য কোনোভাবেও দিতে পারে। ব্যাংক লোকসানে যেতে পারে না, গেলে বৈদেশিক বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে পড়বে। এখন পর্যন্ত কোনো দেশে এভাবে সুদকে আয় খাতে নেওয়া বন্ধ করা হয়নি। আমাদের প্রবাসী আয় আসছে, পোশাক কারখানাগুলো রপ্তানি শুরু করে দিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকা খুলে যাচ্ছে, ফলে রপ্তানি হবে। এটা আশার খবর। সামনে আরও ভালো খবর আসবে, আমরা এ প্রত্যাশা করি।

দেশে অনেক নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। পরিস্থিতি ভালো হলে এসব কারখানা উৎপাদনে যাবে, এতে রপ্তানিও বাড়বে। এ ছাড়া পদ্মা সেতুসহ যেসব বড় প্রকল্প চলছে, তার সুবিধা অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাস চলে গেলে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।

ব্যাংক লোকসানে গেলে তার খরচ কমিয়ে আনবে। শেয়ারবাজারে তার বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে অনেক ব্যাংক তাদের লোকবল কমিয়ে আনতে পারে, যা কর্মসংস্থানে বড় আঘাত হানবে।

আবদুল হালিম চৌধুরী: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পূবালী ব্যাংক