Thank you for trying Sticky AMP!!

সব ব্যবসাকেই বাঁচিয়ে রাখুক সরকার, সেটা চাই

মাসরুর আরেফিন।
>

করোনায় ব্যাংকের ঋণ আদায় প্রায় বন্ধ। এ অবস্থায় এপ্রিল ও মে মাসের ঋণের সুদকে আয় হিসেবে না দেখিয়ে 'ব্লকড হিসাবে' রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকাররা বলছেন, এতে ব্যাংকগুলো লোকসানে চলে যাবে। এ বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে আমি মন থেকে স্বাগত জানাই। দুই মাসের সুদকে ব্লকড হিসাবে রাখা মানে, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা সুদ আদায় করব না। তাতে ব্যবসায়ীদের খরচ কমবে। ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী এটাকে জরুরি মনে করেছেন। কিন্তু ব্যাংক ব্যবসাকেও তো বাঁচাতে হবে। দুই মাসের সুদ ব্লক হলে সিটি ব্যাংকের আয় প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা কমে যাবে। এর আগে সুদ কমে ৯ শতাংশ হয়েছে। সব মিলে আমাদের পরিচালন মুনাফা এ বছর এমনিতেই প্রায় ৩০ শতাংশ কমত। এ অবস্থায় এসেছে দুই মাসের সুদ ব্লকড হিসাবে নেওয়ার বিষয়টা। এতে হয়তো কর-পরবর্তী লোকসানে চলে যাবে ব্যাংক। সিটি ব্যাংকের পাশাপাশি পুরো খাতেরই আশঙ্কা থাকবে কর–পরবর্তী মুনাফা ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ার। সেটি হলে বিদেশি ঋণমান সংস্থাগুলো আমাদের ঋণমান কমিয়ে দেবে। বিদেশি ব্যাংকগুলো আমাদের এলসির নিশ্চয়তা দেবে না, দিলেও অনেকবেশি মাশুল নেবে। অন্যদিকে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের বিনিয়োগের বিপরীতে কোনো মুনাফা পাবেন না, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শেয়ারের দামে।

আমি চাই, সরকার এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোকেও ভর্তুকি দিক। আমানতকারীদের এ দুই মাসে সুদ দিতে আমাদের ২১৪ কোটি খরচ হবে। ওই টাকা সুদ আয় থেকেই দিই। সরকার সব ব্যবসাকেই বাঁচিয়ে রাখুক, সেটাই চাই। তা-ই করা উচিত, যা অধিকসংখ্যক মানুষের জন্য ভালো।