সুইজারল্যান্ড থেকে কিছু গ্রাহকের তথ্য পাওয়া গেছে
আমরা আগে সুইজারল্যান্ড থেকে কোনো তথ্যই পেতাম না। এখন কিছু গ্রাহক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সুইস ব্যাংক না, সুইজারল্যান্ডের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে এসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাদের থেকে তথ্য নিতে হলে একজন গ্রাহক–সম্পর্কিত সব ধরনের নথিপত্র জমা দিতে হয়। এরপর তাদের কাছে যদি ওই গ্রাহক সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে, তাহলেই কেবল তারা তা আমাদের জানায়।
আগে তারা এসব তথ্য দিতে রাজি ছিল না, সম্প্রতি তারা অনেকটা তথ্য দেওয়ার বিষয়ে উদার হয়েছে।
মূলত, অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের চাপেই তারা কিছুটা কৌশল পরিবর্তন করেছে। আমরা কয়েকজনের বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য চেয়েছিলাম, তাঁদের মধ্য থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এখন মূলত সুইজারল্যান্ড থেকে কিছু তথ্য পেয়েছি মাত্র। দেশটি থেকে অর্থ ফেরত পাওয়া আরও অনেক পরের বিষয়।
Also Read: ‘সুইস ব্যাংক এখন আর ট্যাক্স হ্যাভেন নেই’
আসলে দেশ থেকে অর্থ বাইরে চলে গেলে তা ফেরত আনা খুবই কষ্টকর কাজ। কারও বিষয়ে তথ্য আনতে হলে দেশে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আদালতের রায় থাকতে হয়। এরপরই তথ্য চাওয়া যায়।
আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনেক তথ্য পাই। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এসব দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।আবু হেনা মোহা: রাজী হাসান, প্রধান, বিএফআইইউ
আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনেক তথ্য পাই। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এসব দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। অর্থ পাচার রোধে এসব পদক্ষেপ অব্যাহত আছে। যেহেতু অবৈধ অর্থ পাচার হয়, তাই অবৈধ অর্থ আয়ের পথ বন্ধ করতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে।