ডলারের দর স্থিতিশীল রাখা উচিত
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। দু–তিন মাসের ব্যবধানে পণ্যের দাম কমতির দিকে রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমতে থাকলেও পণ্য আমদানিতে ব্যয় বেড়ে গেছে। শিল্পপণ্যের মতো নিত্যপণ্যের ব্যয় বাড়ার প্রথম কারণ হলো ডলারের বিনিময়মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। কয়েক মাস আগে যেখানে প্রতি ডলারের দর ৮৬ টাকা ছিল, এখন সেখানে ১১০–১১২ টাকায় উঠেছে। স্বাভাবিকভাবে পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়ে গেছে।
এখন জ্বালানির মূল্য বাড়ায় নিত্যপণ্যের খরচ আরেক দফা বাড়বে। দেশে নিত্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতের কারখানা গড়ে উঠেছে। প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা হয়। বিপুল পরিমাণ পণ্য একবার বন্দর থেকে কারখানায় নেওয়া ও বাজারজাত করতে পরিবহন ব্যয় বাড়বে।
আমরা দেখেছি, বিশ্ববাজারে কোনো পণ্য যে হারে কমেছে, তার চেয়ে বেশি হারে খরচ বেড়ে গেছে দেশে। এটি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। সে জন্য সরকারের উচিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের দরে যাতে নিত্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলা যায়, তা নিশ্চিত করা। তাহলে অন্তত নিত্যপণ্য আমদানিতে খরচ কমবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার সুফল পাওয়া যাবে।
মোস্তফা কামাল
চেয়ারম্যান, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)
আরও পড়ুন
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে
-
আইসিইউর এসি নষ্ট, অস্ত্রোপচারও বন্ধ, কষ্টে রোগীরা
-
দিনাজপুরে ভোট গণনার পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১
-
এবার ‘কিপটে’ মোস্তাফিজের ২ উইকেট, বড় জয়ে শীর্ষ তিনে ফিরল চেন্নাই
-
ঢাকাসহ ৫ জেলা: মাধ্যমিক সোমবার বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকছে