Thank you for trying Sticky AMP!!

ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের জন্য ১% সুদে অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রঋণ দিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। আর গ্রাহকদের ঋণ দিতে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। গ্রাহকদের ঋণের আকার হবে ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বর্তমানে শুধু বিকাশ গ্রাহকদের ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ দিচ্ছে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক। বিকাশের গ্রাহকেরা এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন। ঋণের আকার ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। আর বিকাশমান এ অর্থনীতিতে আর্থিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই আর্থিক খাত গঠনের লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে আর্থিক পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণের সহজলভ্যতা, ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ প্রদান ও ব্যাংকের তহবিল ব্যয় কমিয়ে স্বল্প সুদে ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হলে এই তহবিল থেকে ঋণ নেওয়া যাবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। গ্রাহকের ঋণের স্থিতির ওপর সুদ আরোপ করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মের বাইরে মাশুল আদায় করা যাবে না। ব্যাংক ও গ্রাহক উভয় পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ছয় মাস।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিকাশ গ্রাহকদের ঋণ দিতে শুরু করে সিটি ব্যাংক। বিকাশের লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই ঠিক করে দেয়, গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কি না। বিকাশের অ্যাপে এই ঋণের আবেদন করা যায়, উপযুক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঋণ দেয় সিটি ব্যাংক। এ জন্য নথিপত্র জমা দিতে হয় না।