Thank you for trying Sticky AMP!!

মার্কিন ডলার

ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৯%

গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আয় দেশে পাঠিয়েছেন। আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ডলার। ফলে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাস ২ দিন কম হলেও প্রবাসী আয় বেশি এসেছে।

অন্যদিকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত বছরের বেশির ভাগ সময়ে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি খুব আশাপ্রদ না থাকলেও শেষের দিকে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে। গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে গত ২০২৩ সালে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার, যা আগের বছরে ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ৩ শতাংশ।

এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।
প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোয় এখন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। তবে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১২০ টাকারও বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছে। এই কারণে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ছে। আবার দেশ থেকে পাচার করা অর্থ কেউ কেউ প্রবাসী আয় হিসেবে দেখিয়ে ফেরত আনছেন বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়-সময় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট।

ডলার-সংকটের কারণে গত বছর ডলারের দাম নিয়ে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা, বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এর পরও গত বছরের বেশির ভাগ সময় বৈধ পথে প্রবাসী আয় কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। ব্যাংকগুলো অবশ্য এখন সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি নিজেরাই সমপরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে।