Thank you for trying Sticky AMP!!

মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ

বিশ্বস্ত সঙ্গী হতে পারে ক্রেডিট কার্ড

আর্থিক সেবা বা লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়া মানে ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠায় সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া। এ ক্ষেত্রে প্লাস্টিক মানি বা ক্রেডিট কার্ড বিশ্বব্যাপী নগদ অর্থ বহনের বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠেছে। উন্নত দেশগুলোতে প্লাস্টিকের এ কার্ড মানুষের পকেটে থাকছে জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে। তবে বাংলাদেশিদের কাছে ক্রেডিট কার্ড এখনো কেবলই ‘লাইফস্টাইল’ পণ্য। বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে এ দেশের মানুষেরও বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে ক্রেডিট কার্ড। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা মানে নগদ টাকা বহনের নিরাপত্তার ঝুঁকি শূন্যের মাত্রায় নামিয়ে আনা।

অনলাইনে কিংবা সরাসরি দোকানে গিয়ে কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনেকেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। নগদ টাকা বহনের চেয়ে আরামদায়ক ও ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই প্লাস্টিক মানি। দেশের প্রায় ৪০টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৭টি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে। 

এ ছাড়া দেশের ডিজিটাল লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এমএফএস। মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে পরিচিত এ ব্যবস্থায় এখন প্রতি মাসে লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বরে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। বর্তমানে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ২২ কোটি ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে দেশে ডিজিটাল কেনাকাটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। 

আমাদের মানতে হবে যে ক্রেডিট কার্ড এখন আর লাইফস্টাইল পণ্য নয়। এটি দৈনন্দিন জীবনযাপনের অপরিহার্য একটি অংশ। এখনো আমাদের দেশের বড় অংশের মানুষের কাছে ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের সংশয় আছে। এ কারণে দেশের অর্থনীতি ও জনসংখ্যার অনুপাতে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা খুবই কম। আমরা মানুষের মধ্যে সৃষ্ট সংশয় দূর করার চেষ্টা করছি।

যেকোনো উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে পণ্য ও সেবার দামে বিশেষ ছাড় নিয়ে হাজির হয় যমুনা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড। ঈদের কেনাকাটায়ও এর ব্যতিক্রম থাকছে না। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সুদ বেঁধে দেওয়া হয় ২০ শতাংশ। ওই প্রজ্ঞাপনের পর দেশের সব ব্যাংকই ক্রেডিট কার্ডের সুদহার কমিয়ে এনেছে।