Thank you for trying Sticky AMP!!

সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে লাগবে অনুমোদন

এখন থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। পাশাপাশি এসব ঋণের সুদ মওকুফ ও অবলোপন করতে হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে তাদের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে থাকে। এই ধরনের ঋণে বড় অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এসব ঋণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আদায় করতে পারছে না। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ধারার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ কিংবা ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান লঙ্ঘনের ঘটনাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর ফলে আর্থিক খাতের ঋণ শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের স্বার্থে এবং এ খাতে ঋণ শৃঙ্খলা আনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান, সুদ বা মুনাফা মওকুফ ও বিতরণকৃত ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

বর্তমানে দেশে অনুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫, যার মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ২৩টি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আবার সম্প্রতি এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য আমানতের সুদহার ৭ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়ায় কমছে আমানতও।

চলতি বছরের জুন শেষে দেশে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ছিল ৬৯ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা, যা মোট স্থিতির ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে মোট ঋণ স্থিতি ছিল ৬৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৪ হাজার ২৩২ কোটি টাকা ছিল খেলাপি। খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।