Thank you for trying Sticky AMP!!

ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা নিয়ে এইচএসবিসি ও ব্যাবিলন গ্রুপের চুক্তি

ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা নিয়ে হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি) ও ব্যাবিলন গ্রুপের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ‘এইচএসবিসিনেট’ ব্যবহারের ফলে স্থানীয় করপোরেট কোম্পানিগুলো অনলাইনে সব ধরনের স্থানীয় পেমেন্ট, যেমন কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও সরবরাহকারীদের পেমেন্ট অতি সহজেই সম্পাদন করতে পারবে।

এইচএসবিসিনেট এমন একটি উদ্ভাবনী অনলাইন ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভবপর হয়। এর ফলে স্থানীয় পেমেন্টের ক্ষেত্রে কাগজভিত্তিক প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক নির্দেশনার প্রয়োজন হয় না; ফলে সেবাগ্রহণকারী অতি সহজেই তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এতে মোবাইলের মাধ্যমেও ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এইচএসবিসিনেটে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকেরা ব্যবসায়িক লেনদেনের প্রতিটি ধাপ অপেক্ষাকৃত কম সময়ে, নিরাপদে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।

এটি ছাড়াও এইচএসবিসির কাছ থেকে ব্যাবিলন গ্রুপ পাচ্ছে রিমোট প্রিন্টিং সেবা। এই সেবা ব্যবহারে ব্যাবিলন গ্রুপ তার ঢাকা, সাভার ও চট্টগ্রাম অফিস থেকে চেক প্রিন্ট প্রদান করতে সক্ষম হবে, যার চেক আউটসোর্সিং সার্ভিসেস কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। ফলে সময় সাশ্রয় হবে এবং একই দিনে কুরিয়ার ব্যবহার ছাড়াই চেক হস্তান্তর সম্ভবপর হবে। এই একই পেমেন্ট সেবা পেতে আগে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লেগে যেত।

সেবাটি সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেড অব হোসেল ব্যাংকিং কেভিন গ্রিন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ পেমেন্ট নিশ্চিতকল্পে গ্রাহকে আমাদের বিবিধ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সেবাগুলো প্রদান করা। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত; আর এই শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত নিশ্চিত করাও খুবই জরুরি।’

ব্যাবিলন গ্রুপের পরিচালক আবদুস সালাম শিকদার বলেন, ‘এই সেবা গ্রহণের ফলে আমাদের পেমেন্ট ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং আমাদের পেমেন্টগুলো ইস্যুর দিনেই শ্রমিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এই মহামারি পরিস্থিতিতে এইচএসবিসির চেক আউটসোর্সিং সার্ভিসেসের মাধ্যমে আমরা বিবিধ লোকেশনে অবস্থিত আমাদের সাপ্লাইয়ারদের পেমেন্টও অনায়াসে স্বল্পসময়ে নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।’