Thank you for trying Sticky AMP!!

ই–কমার্সের প্রবৃদ্ধি ৮০ শতাংশ

মহামারির মধ্যে সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও ই-কমার্সের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে অনেকেই সশরীর বাজারে যাননি। তাই ২০২০ সালে অনলাইনে নিত্যপণ্যের বেচাকেনা ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। আর সামগ্রিকভাবে গত বছর এই খাতের ব্যবসা বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ, যেখানে কোভিডের আগে ই-কমার্সের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২০-২৫ শতাংশ।

২০২০ সালে বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় ই-কমার্স খাতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কারণে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেনও বেড়েছে। গত বছর প্রায় ১৫ শতাংশ লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়েছে। আর সাধারণ ছুটির সময়ে তা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হয়েছিল। গতকাল ই-ক্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

গত বছর এত প্রবৃদ্ধি হওয়ার বদৌলতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, প্রায় ৫০ হাজার নতুন মানুষের কাজের সুযোগ হয়েছে।

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ যেন ঘরে বসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে, সে জন্য ই-ক্যাব নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। পণ্য ডেলিভারির সময় ইতিমধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন ই-কমার্সের কার্যক্রম বড় ও মাঝারি শহরগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এই সেবা গ্রামাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান শমী কায়সার।

এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ই-কমার্সের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি প্রণয়নের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া তিনি জানান, ই-ক্যাবের সদস্যরা বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছেন। ইতিমধ্যে ১১২টি সদস্য প্রতিষ্ঠান বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।