Thank you for trying Sticky AMP!!

উৎকোচ দাবির অভিযোগের তদন্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ করেছিল ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন।

এর আগে গত ডিসেম্বরে আইডিআরএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলে দুদকে পৃথক আবেদন করেন ডেলটা লাইফের যুগ্ম নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট পল্লব ভৌমিক। এতে ফল না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জায়েদ রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে ওই অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে দুদককে নির্দেশ দেন। ওই অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আদালতের ২৮ জানুয়ারির আদেশ উপেক্ষা করার কথা উল্লেখ করে ডেলটা লাইফের প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আরেকটি আবেদন করেন জায়েদ রহমান।

রিট ও আদালত অবমাননার আবেদন গতকাল শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে আদালত রিটটি অকার্যকর বিবেচনায় রুল খারিজ করে দেন। আর ডেলটা লাইফের প্রশাসক সুলতান-উন আবেদীনের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন আদালত।
আদালতে ডেলটা লাইফের পক্ষে আইনজীবী ফিদা এম কামাল, তানজিব উল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আবুল কালাম আজাদ শুনানিতে ছিলেন। আইডিআরএর চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম মুনীর, যিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন শুনানিতে ছিলেন।

পরে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, দুদক জানিয়েছে ইতিমধ্যে ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ওপর আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রিটটি অকার্যকর গণ্য করে ওই আদেশ দেওয়া হয়।

ডেলটা লাইফের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেন। এ অবস্থায় পল্লব ভৌমিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রশাসক অভিযোগ তুলে নিতে নির্দেশ দেন, যা আদালত অবমাননাকর। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তাঁর (প্রশাসক) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসক সুলতান-উন আবেদীনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।