Thank you for trying Sticky AMP!!

খাদ্যপণ্যের দাম কমছে

ফেব্রুয়ারি থেকে টানা তিন মাস নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে মে মাসে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। শহর ও গ্রাম—দুই জায়গাতেই চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পড়তির দিকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিবিএসের তথ্য বলছে, মে মাসে গড় মূল্যস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এপ্রিলে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে গড় খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মে মাসে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

গড় মূল্যস্ফীতি কমে আসার ব্যাখ্যা দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চালের দাম কমে এসেছে। চালের পাশাপাশি মাছসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমেছে। চিনি, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাকসবজি, ফল, মসলা, দুগ্ধজাতীয় দ্রব্যের দাম কমেছে। তবে মে মাসে প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাব, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও গৃহস্থালির বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। সে হিসাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণেই আছে মূল্যস্ফীতি।