Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলাম

এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমকে গতকাল সংবর্ধনা দেয় পরিকল্পনা বিভাগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সরকার যে আস্থা রেখেছে, তার যথাযথ প্রতিদান দেবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সরকার আমার ওপর আস্থা রেখেছে, আমি চেষ্টা করব পরিকল্পনামন্ত্রীর অধীনে থেকে তাঁর পরামর্শমতো চলতে। আমার একক কোনো অস্তিত্ব নেই। আমি পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তিনি যে নির্দেশ দেন, সে অনুযায়ী কাজ করব।’

Also Read: প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শামসুল আলম

রোববার সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক সদস্য শামসুল আলম। এ উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিকল্পনা বিভাগ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। পরে আর সরাসরি তেমন রাজনীতিতে ছিলাম না। তবে আওয়ামী রাজনীতি বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনীতিতে সব সময় ছিলাম। শিক্ষকদের যে সংগঠন, তার জেনারেল সেক্রেটারিও ছিলাম। বাকসুর সাহিত্য সম্পাদক ছিলাম একসময়। আবার যখন শিক্ষকতা শুরু করি, তখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।’

নতুন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী তিনি আরও বলেন, ‘জিইডি সদস্য থাকার সময় অনেক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। পরিকল্পনা নিয়ে সাধারণত সমালোচনা হয়। তবে আমার পরিকল্পনাগুলো সর্বজনগৃহীত ছিল।’

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম।
শামসুল আলম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী তাঁকে উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে থাকতে চেয়েছিলেন—এমনটা জানিয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মর্যাদা দিয়েছেন, আমি সেই মর্যাদার প্রতিদান দেব। আমি দীর্ঘদিন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। এই স্বচ্ছতা অক্ষুণ্ন রাখব।’

তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো উপদেষ্টা থাকতে পারতাম। সেটা প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন। এতে হয়তো ওনার কাছাকাছি থাকতে পারতাম। তবে আমি চেয়েছি আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি থাকি। তাঁকে এটা বলেছি, তিনি সেটা রেখেছেন। আমি টিমওয়ার্কের মধ্যে থাকতে চাই। আমার কাজ হবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ প্রকল্প বাস্তবায়ন যেন আরও দ্রুত হয়, সে বিষয়ে কাজ করা। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়ন এক মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। তবু পরিকল্পনামন্ত্রীকে সামনে রেখে আমরা কীভাবে এই প্রকল্প আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে কাজ করব।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নতুন একটা ইঞ্জিন যোগ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও গতি পাবে। শামসুল আলম আমার কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আমাদের টিম লিডার প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে কাজের গতি বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি।’