Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই সংস্থার গাফিলতির দায় ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে

আপনি পাঁচ বছর আগে কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন নিয়ে ফেলেছেন। এ জন্য যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে মাশুলও দিয়েছেন। তখন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট নেওয়া হয়নি। পাঁচ বছর পর এসে এখন বলা হলো, আপনাকে বকেয়া ভ্যাট দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে ওই পরিদপ্তর কোনো সেবা দেবে না। এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের সিদ্ধান্তের দীর্ঘসূত্রতায় এই ভোগান্তিতে পড়তে হলো ব্যবসায়ীদের।

গত বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বকেয়া ভ্যাট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, যা আরজেএসসি হিসেবে বেশি পরিচিত। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেবার বিপরীতে মাশুল নেওয়া হলেও ভ্যাট নেওয়া হয়নি। ওই সময়ে পুরোনো ভ্যাট আইন চালু ছিল। ওই আইন অনুযায়ী, এ দপ্তরের যেকোনো সেবার বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ হয়। ওই চার বছরে প্রায় ৬০ হাজার সেবার বিপরীতে ৭৩ কোটি টাকা আদায় করা হয়নি, যা এখন বকেয়া দেখানো হচ্ছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট বকেয়া আছে, সেই তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সেবার বিপরীতে ভ্যাট আদায়যোগ্য কি না তা জানতে চেয়েছিল তৎকালীন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়। এ নিয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালির পর এনবিআরের সিদ্ধান্ত দিতে আড়াই বছর সময় চলে যায়। ওই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে তৎকালীন আরজেএসসি কোনো ভ্যাট আদায় করেনি। ফলে সেবাগ্রহীতাদের কাছে ৭৩ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে যায়। এ নিয়ে কিছুদিন আগে নিরীক্ষা আপত্তির মাধ্যমে বকেয়া ভ্যাট আদায়ের অনুরোধ করে এনবিআর। এখন সেই বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

Also Read: বকেয়া ভ্যাট চাইল আরজেএসসি

এ বিষয়ে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মকবুল হোসেন বলেন, এনবিআরের অডিট আপত্তির কারণে
এখন বকেয়া ভ্যাট চাওয়া হয়েছে। যাঁদের কাছে বকেয়া ভ্যাট পাওনা আছে, তাঁরা পরবর্তী সেবা নেওয়ার আগে যেকোনো সময়ে এই বকেয়া ভ্যাট দিতে পারবেন।

নতুন কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলার সময় নামের ছাড়পত্র, নিবন্ধন, রিটার্ন ফাইলিং, অবসায়নসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে পরিদপ্তর। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট পাওনা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান একাধিক সেবাও নিতে থাকতে পারে। তাই বকেয়া থাকা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা জানা যায়নি। যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইস্টার্ণ ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বকেয়া ভ্যাট পরিশোধ করা যাবে।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, অডিট আপত্তির টাকা যত দিন পরিশোধ করা না হবে, তত দিন এটি নিষ্পত্তি হবে না। তাই অডিট আপত্তির টাকা নিষ্পত্তি যত দ্রুত করা হবে, ততই ভালো।