Thank you for trying Sticky AMP!!

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চোখ রাঙাচ্ছে

ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

নতুন বছরের প্রথম মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। চাল, ডাল, তেল, চিনি ও পোশাকের দাম এবং বাড়িভাড়া বেড়েছে। গ্রাম ও শহর উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুটোই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচক ও মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম, পরিচালক আবদুল কাদির মিয়া প্রমুখ।

বিবিএস বলছে, ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে তা ছিল ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছর এই সময়ে একজন ভোক্তা যে পণ্য ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন, সেটির দাম বেড়ে এবার দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ৩২ পয়সা।

খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার দুটোই বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে উঠেছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

জানতে চাইলে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ৩০ মার্চ থেকে সরকার স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে। এক বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। তাই অনেকে হুমড়ি খেয়ে স্কুল-কলেজের জন্য নতুন পোশাক কিনছে। এ ছাড়া বাড়িভাড়াও বেড়েছে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।