Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোট ছাড়াই এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি–সহসভাপতি হলেন যাঁরা

এফবিসিসআইয়ের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) পরিচালক পদগুলোর মতোই সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি ও সাত সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন সভাপতি হয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআইয়ের নতুন পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সভাপতি হয়েছেন মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি। অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে নির্বাচিত তিন সহসভাপতি হলেন এম এ মান্নান, মো. আমিন হেলালি ও হাবিব উল্লাহ। আর চেম্বার গ্রুপের তিন সহসভাপতি হচ্ছেন মো. আমিনুল হক শামীম, সালাউদ্দিন আলমগীর ও এমএ রাজ্জাক খান।

এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্ব নির্বাচনে ৫ মে সাধারণ সদস্যরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। কারণ, তার আগেই ৪৬ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ৩২ জন মনোনীত পরিচালকও একইভাবে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছেন। অবশ্য গতবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি সাধারণ সদস্যরা।

এফবিসিসিআইয়ের ২০২১-২৩ সাল মেয়াদি নির্বাচনের সর্বশেষ ধাপে আজ রোববার সভাপতি ও সাত সহসভাপতি পদে মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়। আট পদে আটজনই মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তাঁদের প্রত্যেককেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন বোর্ড।

এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্ব নির্বাচনে ৫ মে সাধারণ সদস্যরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। কারণ, তার আগেই ৪৬ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ৩২ জন মনোনীত পরিচালকও একইভাবে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছেন। অবশ্য গতবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি সাধারণ সদস্যরা।

সংগঠনটির ২০২১-২৩ সাল মেয়াদি পরিচালনা পর্ষদে মোট পরিচালক পদ ৮০টি। এসব পদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে দেশের জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে ৪০টি পরিচালক পদ। বাকি পদ পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর জন্য সংরক্ষিত। ৮০টি পরিচালক পদের মধ্যে ৪৬টিতে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পান। বাকি ৩৪টি পদে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংগঠন থেকে মনোনীত পরিচালকেরা আসেন।

সমঝোতার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক, গাইবান্ধা চেম্বারের আবুল খায়ের মোরসেলিন, ফ্ল্যাক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আক্কাস মাহমুদ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মালিক সমিতির মো. আলী জামান মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়।

এবারে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ১৭ জন করে ৩৪ জন মনোনীত পরিচালক পদের বিপরীতে আবেদন করেন ৩২ জন ব্যবসায়ী। মনোনীত পরিচালক পদে প্রার্থী দেয়নি গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। অন্যদিকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য চেম্বার গ্রুপের ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে ২৫ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী হন ২৬ জন। পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) খেলাপি হওয়ায় কে এম আখতারুজ্জামান মনোনীত পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা হারালেও পরে প্রার্থিতা ফিরে পান। তিনি অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে পরিচালক হন।

পরে গত মাসে সমঝোতার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক, গাইবান্ধা চেম্বারের আবুল খায়ের মোরসেলিন, ফ্ল্যাক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আক্কাস মাহমুদ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মালিক সমিতির মো. আলী জামান মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়। সে কারণে পদের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো প্রার্থী ছিল না। তাই ৪৬ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

আজ বিকেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বর্তমান সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এ সময় বর্তমান এবং নবনির্বাচিত সহসভাপতিরাও উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআইয়ের ২০১৯-২১ সাল মেয়াদি নির্বাচনে মোট পদ ছিল ৭২টি। এর মধ্যে ৪২টি পরিচালক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে পদের বিপরীতের সমানসংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ফলে কারও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। তখনো সভাপতি পদে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন একজনই—শেখ ফজলে ফাহিম। এর আগে ২০১৭ সালের ১৪ মে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে জয়ী সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও সহসভাপতি মুনতাকিম আশরাফেরও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। পরিচালক পদেও চেম্বার অংশে ভোটাভুটি ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। তবে পণ্যভিত্তিক সংগঠন বা অ্যাসোসিয়েশন অংশে তখন ভোটাভুটি হয়েছিল। রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন ভোটাররা।