Thank you for trying Sticky AMP!!

যাত্রা শুরু বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (বিআইডিএফ) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্পে এই তহবিল থেকে প্রথম অর্থায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার এ বিষয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুলের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে পায়রা বন্দরের পক্ষে চেয়ারম্যান হুমায়ূন কল্লোল ও জান ডে নুলের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক জ্যান ময়েন্স সই করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, রাবনাবাদ চ্যানেলে এই ড্রেজিংয়ের ফলে পায়রা বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ১০ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে। এতে বন্দরে ৪০ হাজার টনের জাহাজ ভেড়ানোর সক্ষমতা তৈরি হবে। ফলে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই বন্দর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব স্থানে দ্রুততম সময়ে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা হবে।

এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানেও বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। ফলে আমদানি রপ্তানি পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমে আসবে। শিল্পকারখানার কাঁচামালের দাম কমবে। দেশের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।

রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। রাবনাবাদ চ্যানেলটির দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার।

মূল টার্মিনাল থেকে ওপরের অংশে ৫৩ কিলোমিটার আর টার্মিনালের ভেতরের অংশে ২২ কিলোমিটার। ৫৩ কিলোমিটারের মধ্যে ২২ কিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি পলিমাটি জমা হয়। বাকি অংশগুলোতে পলিমাটি জমা হওয়ার পরিমাণ কিছুটা কম। রাবনাবাদ চ্যানেলটির নাব্যতা ঠিক রাখতে বছরে চার মিলিয়ন ঘনমিটার পলিমাটি অপসারণ করতে হবে।