Thank you for trying Sticky AMP!!

সর্বোচ্চ ৮% সুদে ঋণ পাবেন কৃষকেরা

যখন ব্যাংকঋণের সুদহার ১২-১৩ শতাংশ ছিল, তখন কৃষকেরা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পেতেন। আর করোনাভাইরাসের কারণে কৃষকেরা এখন প্রণোদনার ঋণ ৪ শতাংশ সুদে পাচ্ছেন। তবে অন্য কৃষিঋণের সুদহার ৯ শতাংশ রয়ে গেছে। যেখানে ব্যাংকগুলো শিল্পঋণ বিতরণ করছে সাড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশে। তাই কৃষিঋণের সুদহারও সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে হবে।

কৃষকের সুদের বোঝা কমাতে চার বছর পর কৃষিঋণের সুদহার কমাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২০১৭ সালের ২২ জুন কৃষিঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ১০ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো শিল্পঋণ বিতরণ করছে সাড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশে। তাই কৃষিঋণের সুদহারও সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই বাংলাদেশ সরকার খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কৃষি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য খাতের মতো কৃষি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উক্ত খাতে ঋণ সুদহার হ্রাস করা প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান বিবেচনায় কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লি ঋণের সুদ সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হলো।

Also Read: জানুয়ারি থেকে উৎপাদন খাতে ঋণের সুদ কমে ৯ শতাংশ

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় থেকে করোনা শুরু হওয়ায় ঋণ বিতরণও কমতে শুরু করে। ফলে কম সুদ হলেও ব্যাংকে আমানত বাড়তে থাকে। এর ফলে তারল্য–সংকট তৈরি না হয়ে বরং ব্যাংকগুলোতে অলস টাকার প্রবাহ বাড়ছে।