Thank you for trying Sticky AMP!!

ভেনামি ছাড়া রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব নয়

মো. আমিন উল্লাহ

হিমায়িত চিংড়ির মোট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশের গন্তব্য ছিল রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশটিতে রপ্তানি বন্ধ। অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তাতে জ্বালানি ও নিত্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্যসামগ্রী কেনা কমিয়ে দিয়েছেন ইইউর নাগরিকেরা। এটি আমাদের বড় বাজার। হিমায়িত চিংড়ি খাদ্যপণ্য হলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, তাই এর বিক্রি কমে গেছে। তারপরও জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৫৩ কোটি ডলারের হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি হয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছের রপ্তানি ২ শতাংশ কমেছে। তারপরও হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে পৌনে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে ইইউর দেশগুলোতে চিংড়ির চাহিদা কম। সে কারণে ক্রয়াদেশও কম। আগামী দু-তিন মাসে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আশা কম।

দুনিয়াজুড়ে যত চিংড়ি বিক্রি হয়, তার ৭৭ শতাংশ উচ্চফলনশীল জাতের ভেনামি চিংড়ি। অথচ সেই চিংড়ি আমরা উৎপাদনই করি না। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু করেছি। আমাদের দাবি, দ্রুত প্রক্রিয়া শেষ করে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া। কারণ, ভেনামি ছাড়া রপ্তানি বাড়ানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।