Thank you for trying Sticky AMP!!

চিকিৎসা শেষে দেড় মাস পর দেশে ফিরলেন অর্থমন্ত্রী

চিকিৎসার ফলোআপ শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেড় মাস পর গতকাল রোববার দেশে ফিরেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন গত ২৮ নভেম্বর। অর্থ মন্ত্রণালয় তখন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন তিনি।

গতকাল এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন গতকাল। তবে বিদেশে থাকাকালীন অনলাইনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী সার্বক্ষণিক দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন করেছেন এবং ভার্চ্যুয়াল বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১ জানুয়ারি থেকেই তিনি নিয়মিত দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করবেন।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাসের পর ছয় মাস ১০ দিনের মধ্যে অর্থমন্ত্রী চিকিৎসার উদ্দেশে তিন দেশ মিলিয়ে প্রায় তিন মাস বিদেশে ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসেবা শাখা সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসার উদ্দেশে বিদেশে যাওয়া মন্ত্রীদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার খরচ সব সরকার বহন করে। তবে অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, তিনি এই খরচ নিজে বহন করেছেন।

যোগাযোগ করলে অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. ফেরদৌস আলম অবশ্য আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, অর্থমন্ত্রী এখন পুরোপুরি সুস্থ। দাপ্তরিক সব কাজ তিনি এখন সচিবালয়ে এসেই করবেন।

অর্থমন্ত্রী এবার সিঙ্গাপুর যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় গত ১৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সিঙ্গাপুর যাওয়ার শুরুর দিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর অর্থমন্ত্রী নিজেই ভার্চ্যুয়ালি এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করে আসছিলেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির বিষয়ে মাঝখানে কয়েকটি বিবৃতিও দেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে অর্থমন্ত্রী ফলোআপ চিকিৎসা করাতে দুবাই গিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে যথাযথভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। আর এ কারণেই সিঙ্গাপুরে ফলোআপ চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা জরুরি হয়ে পড়ে।

তার আগে চিকিৎসার জন্য গত ১ জুলাই লন্ডনও গিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য হচ্ছে, লন্ডন পৌঁছানোর পর অর্থমন্ত্রীকে সেখানে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছিল। ফলে পৌঁছানোর ১৪ দিন পরেই তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় গত ২৬ জুলাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, হোম কোয়ারেন্টিনের কারণেই চিকিৎসার কাজে অর্থমন্ত্রীকে একটু বেশি সময় লন্ডনে থাকতে হয়েছে।
বলা হয়েছিল, অর্থমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতি থাকার সময় থেকে আইসিসির তত্ত্বাবধানে লন্ডনে যেসব ডাক্তারের পরামর্শ নিতেন, পরবর্তী সময়েও তিনি সেসব ডাক্তারের পরামর্শই নিতেন।

গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। তারও আগে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য অর্থমন্ত্রীর লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, একদিকে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, অন্যদিকে বাজেট তৈরি, সেই বাজেট সংসদে উপস্থাপন ও পাস—এসব কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হয়নি। এক মাস লন্ডনে থেকে গত ২ আগস্ট দেশে ফিরেছিলেন অর্থমন্ত্রী।