Thank you for trying Sticky AMP!!

আইনি দুর্বলতায় ব্যবস্থা নিতে পারে না স্টক এক্সচেঞ্জ !

কখনো আইনের অভাবে আবার কখনো প্রয়োগের দুর্বলতার কারণে শেয়ারবাজারে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না স্টক এক্সচেঞ্জ। যদিও স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে ধরা হয়।

প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিজেদের নানা সীমাবদ্ধতার কথা আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। মাসিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে সিএসইর ঢাকা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তাতে বক্তব্য দেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন।

সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ সাজিদ বলেন, আইনি দুর্বলতার কারণে শেয়ারবাজারের অনেক অনিয়মের বিরুদ্ধে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

আবার যেসব ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে সেসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সেসব আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের দুর্বলতার কথা তুলে ধরা হয়।

২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির আগে থেকেই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে এ ধরনের দুর্বলতার কথা বলা হলেও এখনো সেটির কোনো সুরাহা হয়নি। ধসের পর নানা সংস্কারের কথা বলা হলেও এখনো অনিয়ম রোধে স্টক এক্সচেঞ্জের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে অতীতের সেই সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরা হয়।

এদিকে শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থাকে স্থিতিশীল বলে দাবি করেছে সিএসই কর্তৃপক্ষ। তবে নিজেদের এক্সচেঞ্জের লেনদেন নিয়ে হতাশ সংস্থাটি। সিএসই কর্তৃপক্ষের মতে, এ মুহূর্তে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে তুলনা করলে সিএসইতে আশানুরূপ লেনদেন হচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিয়মিত ভিত্তিতে এসব ওয়েবসাইট হালনাগাদের বিধানও আইনে আছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক তালিকাভুক্ত কোম্পানিরই ওয়েবসাইট কার্যকর নেই। আবার অনেক কোম্পানির ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোনো তথ্যই থাকে না। এ ক্ষেত্রে আইন থাকলেও সেটির বাস্তবায়নের তদারকির ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর দুর্বলতা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি মাস থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও আবেদন জমা নেওয়ার কাজ শুরু হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর হামিদ ফেব্রিক্স নামের একটি কোম্পানির আইপিওর মাধ্যমে পরীক্ষামূলক এ কাজটি শুরু হবে।