Thank you for trying Sticky AMP!!

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে সূচক উঠে এল ৫ হাজার পয়েন্টে

দুই দিনের উত্থানে ৫ হাজার পয়েন্টে উঠে এল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। আজ সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৫ হাজার পয়েন্টে। অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৫২ পয়েন্ট।

১১ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচকটি কমে ৫ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে আসে। এরপর সূচকটি পড়তে থাকে, নেমে আসে ৪ হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে। গতকাল চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকটি ৬৪ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর আজও উত্থানের ধারা অব্যাহত আছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য দেশের ব্যাংকগুলোকে নগদ অর্থের জোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক—গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই খবরে গতকাল ও আজ বাজারে সূচকের বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। সহায়তার ওই অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য নতুন করে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খুলতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে সরাসরি তারল্য জোগান দেওয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের এটিই প্রথম উদ্যোগ। এর আগে বিভিন্ন সময় শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নীতিসহায়তা দেওয়া হয়। এবারই প্রথম অর্থের জোগান দেওয়া হবে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনগত সীমার মধ্যে থেকে যেসব ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেসব ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বা বিল রেপোর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্যসুবিধা নিতে পারবে। আগে ব্যাংকগুলোর জন্য রেপোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ২৮ দিন। এখন তা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস করা হয়েছে। তবে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করবে ব্যাংকগুলো যে তারল্যসুবিধা নেবে, তা ব্যবহারের সাফল্যের ওপর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকালের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আইনি সীমার মধ্যে থেকেও অনেক ব্যাংকের শেয়ারবাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ ও সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানিকে ঋণ দিয়ে ওই কোম্পানির পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি গতিশীল শেয়ারবাজার নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। ব্যাংকগুলো যাতে নিজস্ব পোর্টফোলিও এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি করতে পারে, সে জন্য শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক তারল্যসুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডিএসইতে আজ মোট লেনদেন হয়েছে ৫১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত কার্যদিবসে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮২টির, কমেছে ৫৩টির, দর অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।

আজ লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো—গ্রামীণফোন, ন্যাশনাল টিউবস, সামিট পাওয়ার, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড, ফরচুন, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, রেনেটা, স্কয়ার ফার্মা ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

দর বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো—ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, আইএফআইসি, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, সুহৃদ, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড, মাইডাস ফাইন্যান্স, এমএল ডায়িং লিমিটেড ও তাকাফুল ইনস্যুরেন্স।

দর কমার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো—ন্যাশনাল পলিমার, ইউনাইটেড এয়ার, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জেস, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, মুন্নু স্টাফলার, আল-হাজ টেক্সটাইল, বিডি অটোকার ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৯টির, কমেছে ৩৬টির ও দর অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।