Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রামীণফোনে শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ ২৮ টাকা

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি (ডানে) এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) কার্ল এরিক ব্রোতেন (বাঁয়ে) জিপি হাউসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি ২৮ টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল রোববার পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সুপারিশ করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) কার্ল এরিক ব্রোতেন। আজ সোমবার জিপি হাউসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ তথ্য জানান।

কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, বোর্ড সভায় ২০১৮ সালে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ২৮ টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়। এর ফলে ২০১৮ সালের মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পরিশোধিত মূলধনের ১৫৫ শতাংশ, যা ২০১৮ সালের কর-পরবর্তী মুনাফার ১০৮ শতাংশ। (এর মধ্যে রয়েছে ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ)। রেকর্ড তারিখ চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাঁরা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন, তাঁরা এই লভ্যাংশ পাবেন, যা আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল।

সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, ‘গ্রামীণফোন দক্ষতা এবং শক্তিশালী মুনাফা প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আরেকটি বছর শেষ করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে গ্রাহক এবং তাঁদের সেবা ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে। ২০১৮ সালে আমরা সেবার মূল্য নির্ধারণ বিশেষ করে ইন্টারনেটের দাম ও ভয়েস ট্যারিফ নির্ধারণে বেশ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছিলাম।’

গ্রামীণফোন ২০১৮ সালে ১৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালে ইন্টারনেট থেকে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব বেড়েছে ২১ শতাংশ এবং ভয়েস থেকে রাজস্ব বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ৭৪ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনে যোগ দিয়েছেন, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই বছর গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছেন ৫৯ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক। এর মাধ্যমে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে মোট গ্রাহকের ৫১ শতাংশ।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ‘২০১৮ সালে বাজারে খুবই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ছিল। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল এনে দিয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আমরা ফোর-জি চালু করেছিলাম এবং কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা নির্দেশের কারণে সে বছর নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও আমাদের ভয়েস ও ডেটা খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিল।’

গ্রামীণফোনের সিইও আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে—এমন বেশ কিছু নীতিনির্ধারণী বিষয় এখন আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আসন্ন এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) এবং টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স এবং সেবার মানসংক্রান্ত বিধিমালা। আমরা মোবাইল শিল্পের সেবাকে আরও উন্নত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলোচনায় আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা আবারও উল্লেখ করছি, যা বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে অব্যাহত রাখবে।’